নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বে চলা এনডিএ সরকার ব্যাকফুটে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত কমিটি গড়ে আলোচনার রায় দেওয়ায় আপাত স্বস্তি পায় মোদী সরকার। তবে স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলির স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবস ২৬ জালুয়ারি দিল্লির দিকে হবে বিরাট কৃষক মিছিল ও ট্রাকটর ব়্যালি।
এতেই নয়াদিল্লির রাজনৈতিক আকাশে দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। দিল্লির উপকণ্ঠে লক্ষ লক্ষ কৃষক জমায়েত করে আছেন। তাদের অল্প অংশ যদি সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন নিজেদের মতো প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে আসেন তাহলে পুরো পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
মঙ্গলবার বৈঠকের পর আন্দোলনরত কৃষক নেতৃত্ব জানান, কৃষকদের মিছিল লাল কেল্লা বা সংসদ ভবন পর্যন্ত যাবে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী ১৫ জানুয়ারি কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়েছে, কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতেই পারে।
আর কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাজপথে হবে শান্তিপূর্ণ মিছিল। এতে লক্ষাধিক কৃষক অংশ নিতে চলেছেন। সরকারকে আইন বাতিল করতেই হবে। কোনও কমিটি গড়ে আলোচনায় তারা রাজি নন। তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সিপিআইএমের শাখা সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা ও জাঠ সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সহ বাকি সংগঠনগুলি অনড়।
নেতৃত্বের অভিযোগ, আইনে স্থগিতাদেশ দিয়ে কমিটি গড়ে আলোচনা মানে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক। কেন্দ্র সরকারের এই ছক বানচাল করা হবে। ২৬ জানুয়ারি হবে ঐতিহাসিক দিল্লি সমাবেশ। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে সামরিক কুচকাওয়াজ হয়।
উপস্থিত থাকেন বিভিন্ন দেশের দূতাবাস আধিকারিক ও অতিথিরা। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি সুরিনামের প্রেসিডেন্ট। এই অবস্থায় কৃষক বিক্ষোভের মিছিল দিল্লি ঢুকলে আন্তর্জাতিকস্তরে আরও বিতর্ক বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.