নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই দেশের বেহাল দশা। এবার শুরু হচ্ছে টিকাকরণ।এই ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ নেহাত কম নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় অর্থ তুলতে সেস বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আর কয়েকদিন বাদেই বাজেট।
ফলে ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে করোনা সেস বসতে পারে বলে ইতিমধ্যেই নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেস অথবা সারচার্জ বসানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।
সেক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে একবারের জন্য ২ শতাংশ হারে করোনা সেস বসতে পারে। যেহেতু কেন্দ্র টিকা করনের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে খবর বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে এবং খুবই সম্ভাবনা রয়েছে তা এবারের বাজেট প্রস্তাবে থাকার।
এই কোভিড সেস চাপতে পারে বড়লোকেদের আয়ের উপর। সে ক্ষেত্রে ধরা হচ্ছে ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় যাদের তাদের উপর এই কর চাপতে পারে। তাদের উপর যে ২ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য সেস রয়েছে তার উপরে এই সেস চাপতে পারে। এইভাবে ১২,০০০ কোটি টাকা আসতে পারে বলে আনুমানিক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অর্গানাইজেশন গত বছর তাদের পলিসি পেপারে সেস বসানোর কথা তুলেছিলেন। তারপরে এবং অর্থনীতিবিদরা তামাকের উপর যেমন সিগারেট বিড়ি ইত্যাদি সেস বসানোর কথা বলেছিলেন। এভাবে ৫০,০০০ কোটি টাকা আয় হতে পারে। সেস থেকে ওই আয় ব্যয় করা হবে করোনা অতি মহামারীতে নানা খাতে যার মধ্যে অন্যতম টিকাকরণ।
এমনিতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন , এবারে যে বাজেট হবে তা আগে কখনো হয়নি। তাছাড়া জানা গিয়েছে,এবারের বাজেট পুরোপুরি পেপারলেস করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ অর্থমন্ত্রক পরিকল্পনা করেছে কোন বাজেট ডকুমেন্ট ছাপা হবে না।
তাছাড়া প্রথাগতভাবে যে বাজেট তৈরির সময় যে হালুয়া রান্নার অনুষ্ঠান হয় তা এবার হবে না। আগে ওই হালুয়া রান্নার পর যারা যারা চূড়ান্ত বাজেট তৈরিতে প্রস্তুতিতে থাকবেন গোপনীয়তা বজায় রাখতে তাদের ওই হালুয়া রান্নার পর অর্থ মন্ত্রকের বেসমেন্টে থাকতে হত বাজেট পেশ পর্যন্ত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.