নয়াদিল্লি: কৃষক বিক্ষোভের জেরে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মনোহর লাল খাট্টার সভা ভন্ডুল হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগের‌ সভাস্থল তছনছ করল কৃষকেরা। এমনই পরিস্থিতি হল যে সভাস্থলের নিকটে অস্থায়ী হেলিপ্যাড করা হলেও সেখানে নামতেই পারলেন না খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের স্বপক্ষে প্রচার করতে বিজেপির কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে কারনালের কাইমালা গ্রামে ‘কৃষক মহা পঞ্চায়েত’ সভা ডাকা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ওই সভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী কারনালের সাংসদ এবং বিজেপির বিধায়কদের থাকার কথা ছিল।

যদিও গ্রামের কৃষকরা আগেই প্রশাসনকে হুমকি দিয়েছিল বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে। সেই জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ওই গ্রাম পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল। ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকে‌ দেওয়া হয়। প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ডিজি।

তারই মধ্যে কালো পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিল কৃষকেরা। বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে এই কৃষকেরা সভামঞ্চের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। লাঠি চার্জ করে এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। কিন্তু তা সত্বেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে সভাস্থলে দলে দলে ঢুকে পরে। শুধু তাই নয় বিক্ষোভকারীরা দখল করে নেয় অস্থায়ী হেলিপ্যাডটি।

সভাস্থলের কাছে এসে হেলিপ্যাডে চারপাশে ঘুর পাক করলেও এমন পরিস্থিতি ছিল যে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আর নামতে পারলেন না।বিক্ষোভ দেখানো চলতে থাকে সভাস্থল তছনছ করা। ভেঙে দেওয়া হয় মঞ্চ। দর্শক ‌ আসনের চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে ভেঙে ফেলা হয়।

যদিও এমন ঘটনা প্রসঙ্গে হতাশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খাট্টার। তার বক্তব্য, নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে কৃষকদের বোঝাতে এসেছিলেন। তিনি দাবি করেন, একদল কৃষকরা তাকে কথা দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা হবে। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কৃষক বলে ওখানে বিজেপি সমর্থকদের নিয়ে আসা হচ্ছিল। অর্থাৎ কৃষক সাজিয়ে সেখানে কৃষি আইন এর সমর্থনে নাটক করা হত।

নিজের এলাকাতেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে ব্যর্থ হওয়ায় অভিযোগ করেন, এই বিক্ষোভের পেছনে কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেসেরা রয়েছে। কৃষকদের এভাবে সংঘাতের পথে যাওয়া উচিত নয়। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।