কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের নামে রাজ্যের মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা সরকারের, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের এই প্রকল্পের কড়া সমালোচনায় এবার হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ‘‘দু-দিন মাসের জন্য তাপ্পি দেওয়ার এই প্রকল্প’’।

সোমবার এভাবেই রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সমালোচনা করলেন লকেট। প্রসঙ্গত, এদিনই রানাঘাটের সভায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসায় রাজি না হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের সব মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনাই লক্ষ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এটি। স্বাস্থ্যসাতী কার্ড থাকলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও বহু হাসপাতাল চিকিৎসায় রাজি হচ্ছে না বলে সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। যা নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে অস্বস্তি বেড়েছে সরকারের।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যসচিব। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ খরচ বাড়ানোর দাবি তুলেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কাউকেই ফেরানো যাবে না বলে রাজ্যের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের।

সোমবার রানাঘাটের সভা থেকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ফের একবার মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও সেই প্রকল্পের সুবিধা না দিলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকী এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করলে নার্সিংহোমের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথীতে একশোয় একশো টাকা দেবে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সবাই পাবেন। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে সব হাসপাতালকে চিকিৎসা করতে হবে।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না করলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের অধিকার রাজ্যের হাতে আছে।’’ জেলার হাসপাতালগুলিকেও স্বাস্ব্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে ভাঁওতা দিতেই এই প্রকল্প বলে কটাক্ষ লকেটের। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দু-দিন মাসের জন্য তাপ্পি দেওয়ার এই প্রকল্প।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I