কলকাতাঃ রোজভ্যালি কান্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। অবশেষে চিটফান্ড কান্ডে জামিন পেলেন শ্রীকান্ত মোহতা। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। শারীরিক অসুস্থতা, করোনা পরিস্থিতির জন্য সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন শ্রীকান্ত মোহতা। দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে আজ সোমবার শ্রীকান্ত মোহতার জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত।
গত কয়েকবছর ধরে রোজভ্যালি-কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। আর সেই তদন্তে নেমেই ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গত ২ বছর ধরে জেলে ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। আজ তার জামিন মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত। জানা যায়, সারদার পরপরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রোজভ্যালি-কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তিনি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার। টলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেই পরিচিত তিনি। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল একটা সময়। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক অনুষ্ঠানে বারবার শ্রীকান্তকে দেখা গিয়েছে।
বলা প্রয়োজন, সিবিআইয়ের পাশাপাশি রোজভ্যালি-কান্ডের তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির তদন্তে উঠে আসে শ্রীকান্ত মোহতার নাম। এরপরেই রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে জেরা করে সিবিআই। সেই সময় জেলবন্দি ছিলেন গৌতম কুণ্ডু।
সিবিআই সূত্রে খবর, গৌতম জেরায় দাবি করেছিলেন, ২০১০ সালে শ্রীকান্তের শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের রোজভ্যালি গোষ্ঠীর টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজনা সংস্থা ২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের ৭০টি ছবি রোজভ্যালির চ্যানেলে দেখানোর স্বত্ব বিক্রি করে। কিন্তু পরে তা নিয়েও সংঘাত হয় দুপক্ষের।
আদালতে গৌতম কুণ্ডুর সংস্থা জানায়, তার মধ্যে নতুন ছবি দেওয়ার কথা ছিল। একাধিক পুরনো ছবি দিয়েছিল শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসে। ৩০টি ছবির মধ্যে অধিকাংশই ছিল পুরনো। রোজভ্যালির টাকা দিয়েই শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসে লছবি বানাবে তাও উল্লেখ ছিল চুক্তিতে। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
জানা গিয়েছে, আজ সোমবার জামিন পেলেও বুধবার সম্ভবত কলকাতায় ফিরতে পারেন শ্রীকান্ত। কারন দীর্ঘদিন ভুবনেশ্বরের জেলে বন্দি ছিলেন এই ব্যবসায়ী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.