নয়াদিল্লি : কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পর্যবেক্ষণ এই আইনকে আপাতভাবে স্থগিত করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পরামর্শ চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নতুন কৃষি আইন কার্যকর করার আগে কি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা যেতে পারে। এই প্রশ্ন কেন্দ্রকে এদিন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেন কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের মধ্যে কী ধরণের সমঝোতা বা মধ্যস্থতা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু একটা সমাধানের পথ দ্রুত বের করা দরকার। তাই সাময়িকভাবে কী কৃষি আইন স্থগিত করা যেতে পারে? তাহলে হয়তো নিরপেক্ষভাবে বসে আলোচনা করা সম্ভব।

কৃষি আইন ও সেই সংক্রান্ত আন্দোলন নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। পিটিশন ফাইল করেন ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা, আরজেডি সাংসদ মনোজ কে ঝার মতো নেতারা। ১৭ই ডিসেম্বরের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কোনও বিক্ষোভে বা প্রতিবাদ আন্দোলনে যদি সম্পত্তি হানি বা প্রাণহানি না হয়, তবে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার মানুষের রয়েছে। এই আন্দোলনে কেন্দ্র কোনও ভাবেই বাধা দিতে পারে না।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আলোচনার পথ তৈরি করুক কেন্দ্র। যেখানে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে, তাদের দাবি দাওয়া নিরপেক্ষভাবে শুনতে পারবে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই কমিটির কাছে দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে পারবে। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে ও সহজে সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।

নিজের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি মানুষের বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে, যতক্ষণ না তা কারোর কোনও ক্ষতি করছে। এই অধিকার খর্ব করার কোনও প্রশ্ন ওঠে না।

তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট কৃষকদের রাস্তা আটকে না রাখার পরামর্শ দেয়। এতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। তবে শীর্ষ আদালত কৃষকদের দাবি দাওয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল বলেও এদিন মন্তব্য করে।

এদিকে, শেষ শুনানির দিন কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, কৃষি আইন নিয়ে কৃষক নেতাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা সুষ্ঠ পথেই এগোচ্ছে৷ খুব শীঘ্র এই সংকট কাটিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলেও আশ্বস্ত করেছিল৷ অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে ছিলেন, “আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। উভয়ের মধ্যে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ দুই পক্ষের সমঝোতার সম্ভাবনার ভিত্তিতেই ১১ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে শীর্ষ আদালত৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।