গান্ধী হত্যাকারী ‘দেশভক্ত’ নাথুরামের নামে আস্ত লাইব্রেরি হিন্দু মহাসভার, উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি
২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যেন গোটা দেশজুড়েই বেড়ে চলেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের দাপট। কখনও বড়দিনে হিন্দুদের গির্জায় যেতে হুঁশিয়ারি তো কখনও গো মাংস ভক্ষণের অভিযোগে গণপিটুনি, বারবারই অভিযোগ উঠেছে একাধিক আরএসএস পন্থী সংগঠনেক বিরুদ্ধে। এমতবস্থায় এবার জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের নামেই একটি আস্ত লাইব্রেরি খুলে ফেলল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।

তীব্র বিতর্ক রাজ্য-রাজনীতিতে
এদিকে এই খবর সামনে আসতেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক হিন্দুবাদী সংগঠনের তরফে এই ধরণের বিভিন্ন কর্মসূচী করতে দেখা গিয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালনের মাঝেই যখন নাথুরামকে স্মরণ করে ধিক্কার ভারতের আম-আদমি। তথকন সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটতে দেখা যায় একাধিক কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মীদের। নাথুরামের নামে একাধিক পথসভা, অনুষ্ঠানও করতে দেখা যায় তাদের। এমতাবস্তায় এবার আস্ত একটা লাইব্রেরি খোলায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাদের অভিসন্ধী নিয়ে।

নাথুরাম গডসের নামে লাইব্রেরি
সূত্রের খবর, রবিবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের নামে একটি লাইব্রেরি খুলেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। যেখানে দেশ ভাগের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাসের বিষয়ে রাখা রয়েছে একাধিক বই। হিন্দু মহাসভার সদস্যদের দাবি এই সমস্ত বাই পড়েই আজকের তরুণ প্রজন্ম ভারত ভাগের আসল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা থেকে এতদিন তাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।

কী বলছেন কট্টরপন্থীরা ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধুমাত্র হিন্দু মহাসভা নয়, একাধিক কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনই দেশভাগের জন্য গান্ধীজিকেই কাঠগোড়ায় তোলে। তাদের দাবি নেহেরু ও জিন্নাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর জন্যই ভারতকে দুখণ্ডে ভাগ করেছিল কংগ্রেস। তদানন্তীন হিন্দু মহাসভা এই সিদ্ধান্তের বিরোধী করেছিল বলেও তাদের দাবি। তবে এই তত্ত্বকে বরাবরই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দেশের উদারপন্থীরা। তারপরেও বিতর্ক থামেনি।

মহাত্মার হত্যাকারীর নামে লাইব্রেরি
এমতবস্থায় হিন্দু মহাসভার বর্তমান কার্যকলাপে বিতর্ক যে আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে কী ভাবে একজন ‘খুনির' নামে লাইব্রেরি দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার সেই বিষয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও হিন্দপ মহাসভার দাবি এই লাইব্রেরির মাধ্যেই দেশের আসল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এমনকী এই ‘জ্ঞানশালার' মাধ্যমেই জানতে পারবেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে হিন্দু মহাসভার অবদানের কথা।
শোভন কামব্যাক শো-এ আয়নার সামনে দাঁড় করালেন মমতাকে! একুশে সক্রিয় পদ্মেই
প্রতীকী ছবি