নয়াদিল্লি : বিশেষ সমীক্ষা প্রকাশ করল বীমা বিশ্লেষক ওয়েব পোর্টাল পলিসি এক্স। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ৫৫ শতাংশ বেশি অর্থ দিয়ে জীবনবীমা বা স্বাস্থ্যবীমা করাতে হয়। কারণ তাঁদের জীবনের ঝুঁকি অনেক বেশি।

সমীক্ষার তথ্য বলছে স্মোকার ও নন স্মোকারদের মধ্যে তুলনামূলক বিচার করলে নন স্মোকারদের কম মূল্যের স্বাস্থ্যবীমা কিনতে হতে পারে। ৫০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম গড়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকার (১৪৮৩৯ টাকা) কাছাকাছি হয়। তেমনই ১ কোটি টাকার স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম হবে ২৭,১৫০ টাকা। এখানে এই প্রিমিয়ামের অর্থমূল্য বাড়তে পারে বেশ কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। স্বাস্থ্যবীমার ক্রেতার বয়স, ধূমপান করেন কীনা, মহিলা না পুরুষ-ইত্যাদি বিষয় প্রিমিয়াম নির্ধারণ করে।

চারটি বয়সের স্ল্যাব ধরা হয় প্রিমিয়াম নির্ধারণের ক্ষেত্রে। ২৫ বছর, ৩৫ বছর, ৪৫ বছর ও ৫৫ বছর। সমীক্ষা জানাচ্ছে ৫৫ বছর বয়েসীকে যে প্রিমিয়াম দিতে হবে, তা ৪৫ বছর বয়েসীর থেকে ৮৫ শতাংশ বেশি। ২৫ বছর বয়েসী থেকে ৩৫ বছর বয়েসী দিতে হবে ৪৫ শতাংশ বেশি প্রিমিয়াম। তেমনই প্রিমিয়ামের অর্থমূল্যের পার্থক্য গড়ে দেবে ধূমপানের অভ্যাস।

একজন অধূমপায়ী ২৫ বছর বয়েসী মহিলা ৫০ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমার জন্য প্রিমিয়াম দেবেন ৫২৪৮ টাকা। এক কোটির স্বাস্থ্যবীমার জন্য দেবেন ৮,৬৩৬ টাকা। সেই প্রিমিয়ামের মূল্য বেশ বেড়ে যাবে একজন ধূমপায়ী ২৫ বছর বয়েসী পুরুষের ক্ষেত্রে। ২১ শতাংশ বেশি প্রিমিয়াম দিতে হবে তাঁকে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হলে অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীর অবস্থা জটিল হতে পারে প্রায় ১৪ গুণ।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি। কারণ ধূমপান করার ফলে যেমন তাদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তেমনি শ্বাসের মাধ্যমে যে কোনও জীবাণু সহজে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারে।

এক গবেষক জানাচ্ছেন, একজন ধূমপায়ী যখন দোকান থেকে সিগারেট কিনে খান। তখন তিনি কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কিনে খাওয়া সিগারেটের মাধ্যমে করোনা ছাড়াতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের।।

এক বিষয়টি গবেষনা করছেন এমন এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, যারা ধূমপান করেন তাদের শ্বাসে খুব সহজে যে কোনো ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। আর ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে সহজেই যে কোনো ভাইরাস ও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I