রানাঘাট: বিধানসভা ভোটের আগে মতুয়া সমাজে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় তৃণমূল। সোমবার রানাগাটের সবা থেকে মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসসঙ্গে এনআরসি, এনপিআর নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মতুয়া সমাজকে আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, ‘‘মতুয়ারা সবাই নাগরিক, কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়তে পারবে না।’’

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এরাজ্যে সাফল্যের মুখ দেখেচিল বিজেপি। তৃণমূলের মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছিল গেরুয়া-শিবির। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ছ’টিতেই এগিয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে তাই মতুয়া মনের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টায় জোরদার তৎপরতা শাসক-শিবিরের।

সোমবার রানাঘাটের হবিবপুরে দলের সভায় মতুয়াদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘‘মতুয়ারা সবাই নাগরিক, কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়তে পারবে না। বাংলায় NRC, NPR করতে দেব না। নদিয়ায় ৫ হাজার উদ্বাস্তু পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হবে।’’

বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়াদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে বিজেপিও। ঠাকুরনগরের বাড়িতে ক্রমাগত আনাগোনা লেগে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। ভোটের স্বার্থে মতুয়াদের বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে বলে এদিনের সভা থেকে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘বাংলার মেরুদণ্ড ভাঙতে দেব না। মিথ্যা বলার জুড়ি নেই বিজেপির। এরই পাশাপাশি কর্মসংস্থান ইস্যুতেও বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ভোট এলেই চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিজেপি। বাংলা বাংলার মতো থাকবে। বাংলাকে বেচতে দেব না। বিজেপি থাকলে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ফিরে আসবে।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।