প্রতীতি ঘোষ, বারাকপুর : বিজেপি ক্ষমতায় আসলে জেলে যেতে হবে ভাইপোকে । উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় কর্মসূচীতে এসে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায় ।

তিনি বলেন, “একজন সাংসদ প্রকাশ্য মঞ্চে বলছেন আমার যদি কলঙ্ক থাকে, প্রমাণ করতে পারেন কেউ তবে একটা ফাঁসির মঞ্চ বানাবেন আমি নিজে গিয়ে মৃত্যু বরণ করব । তোমার কলঙ্ক আছে কি না, সেটা বাংলার মানুষ দেখছে । ফাঁসির মঞ্চ বানালে সেই মঞ্চ কালীঘাটে বানাতে হবে । আমি অভিষেক কে মনে করিয়ে দিতে চাই, শোলে সিনেমার ডায়লগ মনে আছে তো ?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় আসলে সারা জীবন জেলের ভেতরে চাক্কি পিষিং এন্ড পিষিং করে জীবন কাটিয়ে দিতে হবে । ওরা যতই অশান্তি করুক, কি ভেবেছে দিদির পুলিশ দিয়ে এবার বাংলায় ভোট হবে না । এবার বাংলায় ভোট হবে দাদার পুলিশ দিয়ে । আমরা নির্বাচনে অশান্তি চাই না, তবে ইঁট মারলে পাটকেল খেতেই হবে ।”

কামারহাটিতে সোমবার দুপুরে বিজেপি নেতা রাজু বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে শতাধিক বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে । বিজেপির এদিনের যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় টলিউডের দুই বিখ্যাত অভিনেতা ও অভিনেত্রী । ছিলেন সুমন বন্দোপাধ্যায় ও কাঞ্চনা মৈত্র ।

কাঞ্চনা এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দোপাধ্যয়ের সীতার অপমান প্রসঙ্গের কড়া সমালোচনা করেন । তিনি বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। উনার মাথার ঠিক নেই । মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে । আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”

অভিনেতা সুমন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এই কামারহাটিতে জেলে বসে ভোটে লড়ে হেরেছেন মদন মিত্র । ওটা এমন একটা দল যে ওই দলের প্রার্থীরা জেলে বসেও ভোটে লড়াই করতে পারে । আর কদিন পর গোটা দলটাকেই দেখবেন জেলে চলে গেছে ।’’

‘‘মদন মিত্রকে বলতে ইচ্ছা করে, মদন এই বয়সে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না । বেশি বাড়াবাড়ি করলে পাল্টে দেব বদন । মাস্তানি আমরাও করতে পারি । আপনারা আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করবেন না । আমরা চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের সব কটা দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দিতে পারি ।” শুধু তাই নয়, এদিনের বিজেপির যোগদান মেলায় কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনাকালে বিনোদন দুনিয়ায় কী পরিবর্তন? জানাচ্ছেন, চলচ্চিত্র সমালোচক রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত I