বাংলায় বিজেপি আসার আশঙ্কা তৃণমূলের অন্দরে কি থেকে গিয়েছে! নদিয়ার সভায় মমতার বক্তব্যে কোন ইঙ্গিত ধ্বনিত হল
দলের এককালের আস্থাভাজনদের দল ছাড়াকে কার্যত পর পর কটাক্ষবাণে বিদ্ধ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই ইস্যুতেই এদিন তিনি বিজেপিকে 'ভারতীয় জাঙ্ক পার্টি'র তকমা দেন। তিনি বলেন, 'বিজেপি করলে সাতখুন মাফ, অন্যরা করলে বন্ধ ঝাপ'! এই বক্তব্যের সূত্র ধরেই মমতা বিজেপি প্রসঙ্গে এদিন কোন কোন বক্তব্য তুলে ধরেছেন, দেখা যাক।

'আমাদের কেউ কেউ ভয় পেয়ে বলছে, সত্যিই কি ওরা আসবে!'
মমতা এদিন কার্যত মিডিয়াকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, মিডিয়াকে কার্যত কিনে নিয়েছে বিজেপি। আর মিডিয়া বারবার বিজেপির খবর দেখাচ্ছে বলেই ' আমাদের কেউ কেউ ভয় পেয়ে বলছে, সত্যিই কি ওরা আসবে!' এরপরই মমতা সাফ বার্তায় স্বভাবসিদ্ধ মেজাজে বলেন, কী করে আসবে বাংলায় বিজেপি! সংখ্যালঘু থেকে তপশিলী জাতি,যুব সমাজ এরা কি বিজেপিকে ভোট দেবেন? প্রশ্ন তুলেই মমতা দাবি করেন, বিজেপি কেবলই মেরুকরণের ভোট করতে চায়।

বিজেপি ডাস্টবিন!
তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন দাবি করেন, ইডি আর সিআইডির ভয় দেখিয়ে বিজেপি নিজের দলে লোক টানছে। সেখানে গেলে কালো টাকা সাদা হয়। এপ্রসঙ্গে বিজেপিকে তিনি ওয়াশং মেশিন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের তুলান করে বলেন,' ট্রাম্পের মতোই এরাও হেরে গিয়ে বলবে হারিনি। সবই এক কয়েনের এপিঠ ঐর ওপিঠ'।

'৬ টাকার বোতলে জল খাই, আর ওরা..'
এদিন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে অমিত শাহকে টেনা মেজাজে টার্গেট করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, 'আমিও মাঝে মাঝে চায়ের দোকানে যাই, গরিবের ঘরে যাই', তবে বিজেপি নেতারা রীতিমতো সেজেগুজে দরিদ্র ঘরে প্রবেশ করছেন বলে দাবি করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, তিনি ৬ টাকার বোতলের প্রাণধারা জল পান করলেও, দিল্লি থেকে আসা নেতারা দামি হিমালয়ের বোতলের জল পাশে নিয়ে দরিদ্র ঘরে খেতে বসেন। আর সেই দলের বোতল গামছা দিয়ে ঞাকা থাকে।

' সোনার বাংলা তৈরি হয়ে গিয়েছে'
মমতা এদিন সাফ জানান, বিজেপি যে সোনার বাংলা তৈরি করতে চাইছে, তা ইতিমধ্যেই তিনি করে দিয়েছেন। আর এখন সোনার বাংলা বিশ্ববাংলা হবে, বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি সুর চড়িয়ে লবদল প্রসঙ্গে বলেন,'যদি কালো টচাকা সাদা করতে চাও তাহলে বিদেপিতে যাও, .. যদি দুন্মবরি করতে চাও তাহসে বিজেপিতে যাও।যদি টাকা মারতে চাও তাহলে বিজেপিতে যাও। '