নতুন বছরেই ফের করোনার কবলে চিন! একাধিক প্রদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
প্রতিবেশীদের উপর কূটনৈতিক নজরদারি চালানো থেকে করোনা ছড়ানোর দায়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবদিক থেকেই প্রায় কোণঠাসা চিন। এদিকে করোনা মহামারীর কবল থেকে আস্তে আস্তে মুক্তির দিকে এগোচ্ছিল বিশ্বের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, তখনই কোভিডের পুনরায় চোখরাঙানিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে চিনের মূল-ভূখণ্ডেই। স্বাভাবিকভাবেই জরুরিভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও তৎপর হতে চাইছে জিনপিং সরকার, খবর আন্তর্জাতিক সূত্রে।

চিনে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা
চিনে যে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তা চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। সরকারি সূত্রে খবর, গত ৮ই জানুয়ারি চিনের মূল-ভূখণ্ডে কোভিডে নতুন করে আক্রান্তে হয়েছিলেন ৩৩ জন, কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন ৬৯ জন। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে মারণ করোনা ঠেকাতে চিনের সরকার যে রীতিমতো কোমড় বেঁধে নেমেছে তা তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড থেকেই পরিষ্কার।

বিদেশ থেকে চিনে ঢুকছে করোনা
প্যাকিং বাক্স হোক বা বিমান যাত্রী, বিদেশ থেকে নানা মাধ্যমে যে চিনে নতুন করে কোভিড ভাইরাসের আমদানি হচ্ছে, সে অভিযোগ আগেই তুলেছিল জিনপিং সরকার। বর্তমানে সরকারের সেই দাবিকেই বৈধতা দিল চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মতে, বিদেশ থেকে চিনে আমদানি হয়েছে ২১টি নতুন করোনা কেসের। যার জেরে নতুন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন চিনের বাসিন্দারা।

কোন প্রদেশে সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে?
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র ছাড়াও যে চাপ ঘনীভূত হচ্ছে বেজিংয়ের আশেপাশে, তা হেবেইয়ের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর, স্থানীয় স্তরে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৪৮টির মধ্যে ৪৬টি কেসই বেজিং নিকটস্থ হেবেইয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হেবেই সহ সমগ্র বেজিংয়েই চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। আতঙ্কে কাঁপছে চিনের রাজধানী শহর।

কমছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা
এহেন অবস্থার মধ্যেও আশার কথা এই যে, চিনে কমছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। ৮ই জানুয়ারি চিনে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হলেও পরেরদিনই তা কমে হয় ২৭। চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাবে, এখনও পর্যন্ত চিনের মূল-ভূখণ্ডে করোনা আক্রান্ত নাগরিকের সংখ্যা ৮৭,৪৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪,৬৩৪ জন।
বার্ড ফ্লু প্রভাবিত রাজ্যের তালিকায় এবার উত্তরপ্রদেশ, বন্ধ রাখা হল কানপুর জুলজিকাল পার্ক