বিজেপি-জেডিইউ ভাঙনের আশঙ্কার মাঝেই নীতীশ 'বন্ধু','শত্রু' চিনতে দ্বিধায়! বোমা ফাটালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী
বিহারে এনডিএ সরকার সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বিপক্ষের তেজস্বী যাদব দাবি করতে শুরু করেছিলেন যে এই জোটের সরকার বেশিদিন টিকবে না। আর তার জেরেই ২০২৪ সালে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার টোপ দিয়ে এখনই জেডিইউয়ের সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে হাত বাড়িয়েছে লালুপুত্র তেজস্বীর দল আরজেডি। এমন পরিস্থিতিতে বোমা ফাটালেন নীতীশ।

'কে বন্ধু , কে শত্রু চেনা যাচ্ছে না'
ক্ষোভ একটা ছিলই। ওককালের কট্টর মোদী বিরোধী নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে বিহারের ভোটে জোটের হাত বাড়ালেও, জোট ধর্ম নিয়ে বিজেপির গতিবিধিতে সন্তুষ্ট তিনি ছিলেন না। এলজেপির এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে নীতীশ বিরোধীতার পরও বিজেপির চুপচাপ থাকাকে নীতীশের জেডিইউ মেনে নিতে পারেনি। এর পর বিহারে সরকার গঠনের পর বিজেপির নীতীশ ঘনিষ্ঠ সব নেতাদের নীতীশের থেকে দূরে করে রাখার পরিকল্পনা, সব দিক মিলিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট নীতীশ বলেই ফেললেন শনিবার বিকেলে 'কে বন্ধু আর আর কে শত্রু বোঝা যাচ্ছে না।'

আসন বণ্টন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত!
বিহারে বিজেপি জেডিইউ যেভাবে আসন বণ্টন করেছে তা নিয়ে ভোটের কয়েক মাস পরেও ক্ষো উগড়ে দিতে শুরু করলন নীতীশ। তিনি বলেন, ভোটের ৫ মাস আগেই আসন বণ্টন নিয়ে দুই পার্টির বসা উচিত ছিল। তবে তা হয়নি। আর সেই বিষয় নিয়ে আকারে ইঙ্গিতে তিনি সাফ জানান এই সমস্যা বিজেপি তৈরি করেছে।

'মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে আমার আর আমার পার্টির বিরুদ্ধে'
কয়েক মাস আগে পর্যন্তও যে নীতীশ কুমার বিজেপির গুণগানে মত্ত ছিলেন, সেই নীতীশ কুমারই শনিবার এক সভায় বলেন, ' আমি মুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণের পক্ষে ছিলাম না। বিজেপি আর আমার পার্টির চাপের জন্য আমি ওই পদে রাজি হই। যখনই ভোট চেয়েছি মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন, আমাদেরদলের পক্ষ থেকে কোনও বভ্রান্তি ছিল না। তবে আমার আর আমার পার্টিকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে।'

'বিশ্বাস, ভরসা' করতে পারছেন না নীতীশ
নীতীশ কুমার ওই সভায় বলেন, কে শ্তরু আর কে বন্ধু তা চেনা যায়নি। কার ওপর ভরসা তিনি রাখবেন , সেই সময় তাও বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, ভোটের পর তাঁরা বোঝেন যে পরিস্থিতি ততক্ষণে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিল না।
তৃণমূলের মতো দুয়ারে গিয়ে বিজেপির স্লোগান সিপিএম বিধায়কের! জনসংযোগই হাতিয়ার