ইসলামাবাদ: ‘নতুন পাকিস্তান’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে এখনও অবধি আর্থিকভাবে পাকিস্তানের অবস্থা হতদরিদ্রই। শনিবার রাত ১১.৪১ নাগাদ আচমকাই লোডশেডিং হয় পাকিস্তানে। প্রথমে কেউ কিছু বুঝতে না পারলেও, ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয় বিষয়টি। পুরোপুরি পাওয়ার ব্ল্যাকআউট। একই সঙ্গে অন্ধকারে ডুবে যায় করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান এলাকা। উল্লেখযোগ্য হল, এবার এই দোষও সেই ভারতের ওপরেই চাপাল পাকিস্তান।

ইমরান সরকারের মন্ত্রী শেখ রশিদ এই পাওয়ার ব্ল্যাকআউটের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারত পাকিস্তানের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে যাতে, ভারতে চলা কৃষক আন্দোলন থেকে বিশ্বের দৃষ্টি ঘুরে যায়।

পাওয়ার ব্ল্যাকআউট প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী ওমর আয়ুব খান জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ফ্রিকোয়েন্সি হঠাত করেই ৫০ থেকে শূণ্যতে নেমে আসে। যার জেরে এই প্রবল বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তিনি সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সিন্ধ প্রদেশের গুড্ডু পাওয়ার প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে এই ত্রুটি বড় আকার ধারণ করে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ফ্রিকোয়েন্সি হঠাত করেই ৫০ থেকে শূণ্যতে নেমে আসে।

সাধারণ মানুষ এই আচমকা বিভ্রাটে বেশ অসুবিধায় পড়েছেন। অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের ইমরান সরকারের ওপর। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একাধিক ট্যুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের পরে পাক জনগণ সোশ্যাল মিডিয়ায় #blackout কে ট্রেন্ডিং-এ তুলে আনে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে পুরো দেশের মানুষকে বেশ কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হলেও সাধারণ পাক নাগরিকেরা কিন্তু #blackout কে ট্রেন্ডিং করিয়ে দেয়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর আলোচনাও হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।