লখনউ : উলট পুরাণ। অবৈধ ভাবে পদোন্নতি এসেছিল। সেই পদোন্নতিতে তথ্য দফতরের অফিসার হন চার জন। কিন্তু সুখ বেশিদিন সহ্য হল না। অবৈধ পদোন্নতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
অফিসার পদ থেকে সরাসরি অবনতি ঘটিয়ে ওই চার অফিসারের মধ্যে কাউকে পিওন, কাউকে নিরাপত্তারক্ষী বা ওয়াচম্যান বানিয়ে দেওয়া হল বলে খবর। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক ইতিহাসে এই ধরণের পদক্ষেপ এর আগে নেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত জেলা তথ্য বিভাগের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী সরকার।
বরেলির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন নরসিংহ। তাঁকে পিওন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ফিরোজাবাদের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন দয়া শংকর। ওয়াচম্যান হিসেবে পদের অবনতি হয়েছে তাঁর।
তেমনই বিনোদ কুমার শর্মা ও অনিল কুমার সিংয়ের ক্ষেত্রেও হয়েছে। তাঁরা পদোন্নতি পেয়ে মথুরা ও বদোহির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অফিসার হয়েছিলেন। ফের পুরোনো পদ সিনেমা অপারেটর কাম কমিউনিকেশন অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত একটি মামলা থেকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে তথ্য বিভাগে পদোন্নতি চেয়ে মামলা করেন এক হেল্পার। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তিনি জানান এই চারজনের পদোন্নতি হতে পারলে তাঁর হবে না কেন। এরপরেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। হেল্পারের পিটিশন খারিজ করে গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
আদালত জানায়, সার্ভিস রুল ভঙ্গ করে এই পদোন্নতি করানো হয়েছে, যা পুরোপুরি অবৈধ। তথ্য দফতরের ডিরেক্টরকে গোটা ঘটনা জানাতে বলা হয়। মামলাকারীর কাছ থেকে পুরো অভিযোগ শুনে তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়। পদোন্নতি হওয়ার পর যে অতিরিক্ত বেতন তাঁরা পেয়েছিলেন, তা তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.