কলকাতাঃ গরু পাচার-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের নজরে এনামূলের তিন আত্মীয়। ইতিমধ্যে এনামুলের ওই তিন আত্মীয়কে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শনিবারই তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়েছেন ওই তিনজন। ঠিক কোথায় গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত না হওয়া গেলেও ওই তিনজনই যে পলাতক তা কার্যত নিশ্চিত সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এনামূলের ম্যানেজারের কাছে এই সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনজনকে।
ইতিমধ্যে বাংলায় গরু পাচার-কান্ডের মূল মাথা এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে একগুচ্ছ তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। এনামুলের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের বিষয়েও কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই।
গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক রাজ্য পুলিশের অফিসারও এই মুহূর্তে সিবিআইয়ের নজরে। আর এরই মধ্যে এনামুলের তিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের খোঁজ পায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এনামুলের এই তিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় গর পাচারের সঙ্গে যুক্ত। পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে ব্যবসা কীভাবে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায় সবটাই করত এই তিনজন। এমনটাই জানতে পেরেছে সিবিআই।
শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী এবং পুলিশের সঙ্গে যাবতীয় সু-সম্পর্ক রাখার কাজটা এই তিনজন-ই করত বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফলে গরু পাচারের একেবারে সূত্রে পৌঁছতে এই তিনজনকে জেরা করা জরুরি বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
অন্যদিকে,সিবিআই জানতে পেরেছে যে এনামূলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মাসিক টাকা নিতেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কালো টাকা পাচারে হাওয়ালা যোগেরও প্রমাণ মিলেছে। ফলে গরু পাচার-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুলকে আরও জেরা করতে চায় সিবিআই।
আর এর পাশাপাশি খানিকটা চাপ বাড়িয়ে তাঁর দূর সম্পর্কের তিন ভাইকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। যদিও ইতিমধ্যেই তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলেই সিবিআইয়ের কাছে খবর। তাই এনামূলের ম্যানেজারকে সেই নোটিস দেওয়া হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.