বর্ধমান ও আসানসোল: বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরাট জনসমাবেশ শনিবার হয়ে গিয়েছে বর্ধমান শহরে। এর পরেই রবিবার সকাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোটের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছেই।

পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে তৃণমূল বনাম বিজেপির সংঘর্ষের জেরে বেশ কয়েকজন জখম। আহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই দলের সমর্থকরা। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ধুন্ধুমার কাণ্ড। জেলায় জাতীয় সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মীরা কৃষি আইনের প্রতিবাদে টোলপ্লাজাগুলি অবরোধ করেন। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ।

জেলা সিপিআইএম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি আইন ও শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড বাতিল সহ ২০ দফা দাবিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জাতীয় সড়ক চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভ অবস্থান ও পথ অবরোধ করা হয়।

রানিগঞ্জের কাছে বাঁশকোপা টোল প্লাজায় বিক্ষোভ অবস্থান ও পথ অবরোধ করা হয়। পঞ্জাবি মোড়ের অবরোধে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার এই জাতীয় সড়ক অবরোধে বেশ কিছু যানবাহন আটকে ছিল।

অভিযোগ, বিজেপি তথা এনডিএ সরকার কৃষি আইনের মাধ্যমে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে কর্পোরেট সংস্থার হাতের পুতুল করতে চাইছে। লক্ষ লক্ষ কৃষক আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির কাছে অবরোধ করছেন। আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে সফরে গিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন।

দুই বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজ্যের কৃষকদের ভুল বোঝানোর খেলায় মত্ত বিজেপি। কেন নাড্ডা দিল্লির কাছে কৃষকদের অবস্থানে যাচ্ছেন না? সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষকসভার অভিযোগ, কৃষি আইন বাতিলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নেহাতই ছলনা।

এরা বিজেপির মদত করতে মরিয়া। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও বর্ধমান শহরে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জনসমাবেশ থেকে কৃষি আইনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।

যদিও দিল্লির কাছে ঘেরাও অবস্থানে থাকা সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলির নেতৃত্বরা জানান, আইন বাতিল না করলে ঘেরাও চলবেই। আসন্ন সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির দিকে হাজার হাজার ট্রাকটর মিছিল হবে। জেপি নাড্ডা ফিরতেই বিজেপি তৃণমূল ও সিপিআইএম পারস্পরিক রাজনৈতিক মিছিল শুরু হয়। তার জেরে রবিবার দুই বর্ধমান জেলা বিক্ষিপ্ত ঘটনায় উত্তপ্ত।

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সিপিআইএম কর্মীরা পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের লাউদোহা তে বাইক মিছিল করে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে। আর বাম নেতাদের দাবি, আইন বাতিল ও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসন দূর করতে মিছিল হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।