মমতার 'বিনামূ্ল্যে কোভিড-ভ্যাকসিনের' খরচ ঘিরে চড়ছে প্রশ্নের পারদ! সরকারি কোষাগারে কতটা চাপ পড়তে পারে
প্রথমের সারিতে থাকা কোভিড যোদ্ধাদের বিনামূল্যে রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন দিতে চায়। এই মর্মে কোভিড যোদ্ধাদের কুর্নিশ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি জানান, যে তাঁর সরকার গোটা রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী, আগ্রহী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হলেও, সরকারি কোষাগারের পরিস্থিতি নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে।

'টিকা ঘুষ' কটাক্ষ অধীরের
অধীর চৌধুরী মমতার এই বিনমূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ' ভোটের আগে টিকা ঘুষ দিতে চাইছেন মমতা'। যদিও বিষয়টিকে নস্যাৎ করে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার সকলের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে চাইছে।'তার কৃতিত্ব নিতে চাইলে সমস্যা কোথায়?'

'মুখ্যমন্ত্রী কি টিকা আবিষ্কার করেন?'
এদিকে, রাজ্য বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন 'মুখ্যমন্ত্রী কি টিকা আবিষ্কার করেন?' বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেছেন, ' চাল, বাড়ির পর এবার টিকা চুরি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দর মোদী আগেই বলেছে, দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ বিনামূল্যে টিকা পাবেন। তাহলে বাকি রইল কে? '

খরচের উৎস নিয়ে জল্পনা, প্রশ্ন
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার ফলে রাজ্যের কোষাগারে বিপুল চাপ পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দিতে গেলে ৫ হাজার কোটি খরচ হবে। বর্তমানে যে খরচ সামলানো কার্যত কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে মমতা সরকারের কাছে।

কোষাগার ও ভ্যাকসিন খরচ
এদিকে, ওই জনপ্রিয় বাংলা সবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, সরকারি আমলা সূত্রের খবরে, রাজ্য যতটা সাহায্য কেন্দ্রের থেকে আশা করেছিল , তা পাচ্ছে না। উপরন্তু রাজ্যের বহু পাওনা টাকা কেন্দ্রের কাছে আটকে। প্রসঙ্গত, এমন এক অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ঘোষণা ঘিরে একরাশ জল্পনা দানা বেঁধেছে।
বিধানসভায় গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার টাকা! দাবিদার না থাকায় রহস্য ঘনীভূত