স্টাফ রিপোর্টার, পুরুলিয়া: গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনায় কারচুপি করে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ দখল করেছে তৃণমূল। রবিবার পুরুলিয়ায় রোড শোয়ে অংশ নিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন কাশীপুর ন’পাড়া এলাকা থেকে রোড শো চলাকালীন শুভেন্দু বলেন, “এখানে জেলাপরিষদ ভারতীয় জনতা পার্টিই পেয়েছে। আমি জানি কীভাবে মধ্যরাতে গণনাতে কারচুপি করে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ তৃণমূল অবৈধভাবে দখল করেছে। মানুষ লোকসভা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমার বিশ্বাস বিধানসভা ভোটে এখানে ৯-০ হবে। এর পর ১৫ দিন অন্তর পুরুলিয়ায় আসব।”

পালটা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সেদিন শুভেন্দুও তৃণমূলের অংশীদার ছিল। তাই যদি কিছু হয়ে থাকে তার দায় শুভেন্দুরও। শুধু তৃণমূলকে কালি মাখিয়ে পালিয়ে যাওয়া যাবে না। সেই কালি ওকেও মাখতে হবে।”

 এদিন শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “প্রশাসনকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। আমি জানি এগুলো। খুব নিন্দনীয় ঘটনা। গত ভোটে মানুষ দুহাত তুলে পদ্মফুলে ভোট দিয়েছেন। আগামীতেও দেবেন। মানুষ এখানকার বিধায়ককে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত নিজের লোককে বসিয়ে রেখেছেন বিধায়ক। আদর্শ নির্বাচনী বিধি চালু হলে বিধায়ক হয়তো প্রচারে বেরতে পারেন, কিন্তু তাঁর প্রচারে কোনও লোক থাকবে না।”

রোড শোএ- এদিন ব্যাপক জন সমাগত হয়েছিল। যা দেখে খুশি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, অনেকেই বলছিলেন জেলায় বিজেপির পক্ষে ৭-২ কিংবা ৮-১ ফলাফল হবে। কিন্তু এদিন রোড শো-এর পর তাঁর মনে হচ্ছে পুরুলিয়ায় বিজেপি ৯ টি আসনই পাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া আসনটি দখল করেছে বিজেপি। আর এগিয়ে থাকা নিরিখে ৯ টি আসনের মধ্যে আটটিতে এগিয়ে রয়েছে ঘাসফুল শিবির।

শনিবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অফিসের আসবাবপত্র এবং মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যত ভাঙবে, তত বাড়বে বিজেপি। গতবার ৮২ হাজার ভোটে ওই কেন্দ্র থেকে জয় এসেছিল। এই ঘটনার পরে এবার ব্যবধান আরও বাড়বে বলে দাবি করেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।