ওয়াশিংটন: সময় যত এগোচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিপত্তি বাড়ছেই। সংসদ ভবনে তাঁর সমর্থকদের হামলার জেরে টুইটার আগেই ব্লক হয়েছে, এবার হাতছাড়া হলো সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ডিগ্রি ফেরত নেওয়া হয়েছে।

ত্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছেন ট্রাম্প। বিশ্ব জুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইরাক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। কারণ, ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকে মার্কিন বিমান বাহিনির হামলায় মৃত্যু হয় ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডারের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হামলার পরে দায় নিয়ে সে কথা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এখন গ্রেফতারি পরোয়ানার অর্থ, ভবিষ্যতে তিনি কোনওদিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইরাকে গেলেই জেলে ঢুকতে হবে।

অন্যদিকে মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটলে নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জয়ী স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ভক্তরা হামলা চালায়। সেই ঘটনার জেরে বিশ্বজুড়ে প্রবল আলোড়ন ছড়িয়েছে। কয়েকজন হামলাকারীরা মৃত্যু ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ওয়াশিংটনে চলছে জরুরি অবস্থা। অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উস্কানিমূলক ভাষণের পরেই হামলা হয়েছিল। তিনি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে চাননি।

ঘটনার পর থেকে বিশ্ব জুড়ে ধীকৃত হতে থাকা ট্রাম্পের টুইটার ব্লক করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতা রেখে এবার কেড়ে নেওয়া হয়েছে সাম্মানিক ডক্টরেট। তবে লিহাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়নি।

বিবিসি, ফক্স নিউজের রিপোর্ট, ইমপিচমেন্ট (অভিশংসন) করা হতে পারে ট্রাম্পকে। ক্ষমতার মেয়াদ কয়েকটি দিন বাকি। তার মধ্যেই বিশেষ আইন প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে। ক্ষমতায় আসতে চলা ডেমোক্র্যাট পার্টি এই দাবি করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আরও বড় কোনও শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। কারণ, তার দলের অনেক নেতা ইমপিচমেন্টের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তার কাছ থেকে পরমাণু অস্ত্রের কোড কেড়ে নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।