স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার পাল্টা হিসেবে আজ, রবিবার বর্ধমানে রোড শো করবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। অন্যদিকে, পুরুলিয়ায় রোড-শো রয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর৷ ফলে এদিন তৃণমূল-বিজেপির সভা-পাল্টা সভায় রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে থাকবে৷

এদিন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বর্ধমান শহরের জিটি রোডে এই রোড-শোর আয়োজন করা হয়েছে। এই রোড-শোতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। লোক সমাগমের বিচারে বিজেপির রোড শোকে টেক্কা দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।

শনিবার বর্ধমান শহরের বীরহাটা থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত জিটি রোডে কর্মসূচি ছিল বিজেপির। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার জি টি রোডে সাড়ে সাতশো মিটার এই রোড শোতে অংশ নেন। বর্ধমানের এই রোড শো কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, বর্ধমানবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দেয়াল লিখন স্পষ্ট। আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তা কাতারে কাতারে মানুষ রোড শোয়ে উপস্থিত থেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েই পাল্টা রোড-শোর আয়োজন করেছে তৃণমূল৷ বর্ধমানের বাসিন্দারা যে তৃণমূল কংগ্রেসের ওপরই আস্থা রাখছেন তা এই রোড শো তে তারা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে, কাতারে কাতারে শহরের পুরুষ-মহিলারা এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন৷

এদিকে, আজ ১০ জানুয়ারি কাশীপুরে রোড শো-এর পর সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রঘুনাথপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় এবং সৃষ্টিধর মাহাতোর মতো নেতা। আরও অনেকেই যোগ দিতে চলেছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া আসনটি তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। এছাড়াও পুরুলিয়া লোকসভার বহু আসনেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে।

এদিকে, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পুরুলিয়া শহরে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন জে কে কলেজ মাঠে দুপুর একটায় ওই জনসভা হবে। ইতিমধ্যে এই সভা নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমোর সভার আগে শুভেন্দুর এদিনের রোড-শো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।