নয়াদিল্লি-বেজিংঃ চিন সীমান্ত শান্ত হয়নি এখনও। ভারত ও চিন দু’পক্ষই একে অপরের দিকে কড়া নজর রেখে দাঁড়িয়ে আছে লাদাখে। কেউ কাউকে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ।
এরই মধ্যে লাদাখে এক চিনা সৈন্যের উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর এরই মধ্যে চিনা সেনা ফেরানোর দাবিতে ভারতকে চোখ রাঙানি বেজিংয়ের। লাদাখে গুরুং হিল এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া জওয়ানকে দ্রুত তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাল চিন।
চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মির পোর্টাল দ্যা চায়না মিলিটারি অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সেই খবরে দাবি করা হয়েছে যে, শুক্রবার এলাকা অন্ধকার ছিল। আর তা থাকার জন্য অচেনা এলাকায় পথ হারিয়ে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন ওই চিনা জওয়ান।
এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই বলেই দাবি চিনের ওই সংবাদমাধ্যমের। শুধু তাই নয়, কার্যত ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চিন জানায়, ‘ভারত ও চিনের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারতের দ্রুত ওই জওয়ানকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত’।
শুক্রবার চিনের এক সেনা জওয়ান ধরা পড়ে যায় ভারতীয় সেনার হাতে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে চিনের ওই সেনা জওয়ান ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ দিকে তাঁকে ধরে ফেলে ভারতীয় সেনা। চিনের ওই সেনা জওয়ানকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘৮ জানুয়ারি লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের এক সেনা জওয়ানকে ধরা হয়েছে। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন।’ ওই জওয়ান পথ হারিয়ে চলে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্তে মোতায়েন থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা চিনের সেনাবাহিনীর ওই জওয়ানকে হেফাজতে নিয়েছেন। বিদেশের সেনা জওয়ানকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করার পর যে প্রক্রিয়া অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও সেই প্রক্রিয়াই মেনে চলা হচ্ছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘গত বছর চিনের সেনাবাহিনী সীমান্তে জড়ো হয়ে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দু’পারে সেনা জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে কীভাবে চিনের ওই সেনা জওয়ান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করলেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
জানা গিয়েছে, ওই সেনা জওয়ানকে হেফাজতে নেওয়ার খবর চিনকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আর এই আলোচনার মধ্যেই চিনের সেনাবাহিনীর পোর্টালে বলা হয়েছে, শুক্রবার কাকভোরে অন্ধকার থাকার কারণে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন চিনা জওয়ান। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.