তৃণমূলে বেসুরোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ফেসবুক পোস্টে জল্পনা ‘হেভিওয়েট’ নেতার
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে বেসুরোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মন্ত্রী থেকে বিধায়ক তো আছেই। এবার পুর প্রশাসক থেকে বিদায়ী কাউন্সিলর- সকলেই বেসুরে বেজে চলেছেন। আর এই বেসুরো রাজনীতির প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুকে একটা পোস্ট করলেই 'কাফি'।

ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বেসুরো তৃণমূল নেতারা
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল নেতারা বেসুরো কথাবার্তা বলছেন। এখন একটা নতুন ট্রেন্ড হয়েছে, ফেসবুকে কিছু লিখে প্রচারে আসার চেষ্টা করা। একুশের ভোটের মাধে আবার কলকাতা পুরসভারও ভোট হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তাই কলকাতা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরদের মধ্যেই এখন শোনা যাচ্ছে বিদ্রোহের সুর।

ফেসবুক একটিমাত্র পোস্ট, জল্পনার পারদ চড়ছে রাজনীতিতে
কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্টিনেটর সুদীপ পোল্লে। তিনি তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরও। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন- আমরা চাওয়াটা তোমাদের কাছে গুরুত্ব নেই, তা ঠিক আছে। কিন্তু পরে দোষ দিও না। ব্যস, এটকুতেই জল্পনার পারদ চড়েছে। আর এর ফলে বিজেপিরও উৎসাহ বাড়ছে দলের শক্তিবৃদ্ধি করতে।

বিভিন্ন জেলায় আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে তৃণমূলে। শুভেন্দু বেসুরো বাজার পরই বিভিন্ন জেলায় আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। একটা দল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এখনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূল ছাড়তে পারেন। কিংবা তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টি করে কিছু আদায় করে নিতে পারেন।

শুধু কলকাতা নয় বিদ্রোহ সুদূর কোচবিহার তৃণমূলেও
শুধু কলকাতার বিদায়ী কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লেই নন, পুরপ্রশাসক ভূষণ সিংকে নিয়ে কোচবিহার তৃণমূল দু-ভাগ। ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে একদল রাস্তায় পর্যন্ত নেমেছে। ভূষণ সিং জেলার মনোনীত কমিটিকে বাদ দিয়ে নিজের মতো করে কমিটি তৈরি করায় তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী ক্রিয়াকলাপের অভিযোগ এনেছে তৃণমূলের একাংশ।
মমতার 'বিনামূ্ল্যে কোভিড-ভ্যাকসিনের' খরচ ঘিরে চড়ছে প্রশ্ন! সরকারি কোষাগারে কতটা চাপ পড়তে পারে