‘বন্ধু চিনতে ভুল হয়েছে’! নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা নীতীশের, তবে কী ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র হাত ধরে জয় এলেও গোটা রাজ্যব্যাপী অনেকটাই সাংগঠনিক শক্তি কমেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল একতার। অন্যদিকে গোটা বিহারে একক শক্তিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন পেয়ে বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছে লালুপ্রসাদের আরজেডির-র। যা নিয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন নীতীশ কুমার। এমতবস্থায় এবার যেন কার্যত সাংগঠনিক চাপ মুক্ত হতেই বিপির বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে ফেললেন জেডিইউ প্রধান।

বিহারের সাংগঠনিক শক্তি কমছে জেডিইউ-র
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে এনডিএ জোটের হাত ধরে জয় এলেও গোটা রাজ্যে ২৪৩টি আসনের মধ্যে জেডিইউ-র দখলে আসে মাত্র ৪৩টি আসন। সেখানে বিজেপি একাই পায় ৭৪টি আসন। আর এই ফলাফলের পরেই নীতীশকে কার্যত বিজেপির হাতের পুতুল বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতারা। এমনকী ঘরের অন্দরেও প্রশ্ন ওঠে বিহারের এই পোড় খাওয়া রাজনীতিকের বিরুদ্ধে। এমতবস্থায় নীতীশের দাবি, ভোটের অন্তত পাঁচ মাস আগে আসন সমঝোতা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা হলে ফলাফল অন্য হতে পারত।

আসন সমঝোতা নিয়ে আগাম কথা বলার প্রয়োজনীয়তা ছিল
এদিন জেডিইউ-র রাজ্য কাউন্সিলের সভায় কোনও রাখ ঢাক না রেখেই নীতীশকে বলতে শোনা যায়, " আসন সমঝোতা নিয়ে পাঁচ মাস আগে কথা হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। কিন্তু তা না হওয়াতেই তার ফল ভুগতে হচ্ছে জেডিইউকে। দিতে হচ্ছে খেসারতও। " যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েই বর্তমানে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন নীতীশ।

মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও ভিন্ন সুর নীতীশের গলায়
এখানেই শেষ নয়। নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েও এদিন ভিন্ন সুরে কথা বলতে দেখা যায় নীতীশকে। তাঁর কথায়, " আমি কখনওই এবারে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইনি। কিন্তু দলের অন্দরে ও বিজেপির চাপের কারণেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে রাজি হই। " পাশাপাশি ভোটের ফলাফল খারাপ নিয়েও এদিন ফের একবার এলজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।

তবে কী ভাঙনের রাস্তায় বিজেপি-এনডিএ জোট ?
নীতীশকে বলতে শোনা যায়, " আমরা বুঝতে ভুল করেছি কারা আদপেই আমাদের বন্ধু, আর কারাই বা শত্রু। কিন্তু নির্বাচনের পরেই আসল চিত্রটা পরিষ্কার হয়েছে।" অন্যদিকে বিপির হাত ধরলেও এর আগেও রাজ্যে এনআরসি হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন নীতীশ। এদিন আরও একবার তা পরিষ্কার করে দেন তিনি। এমতাবস্থায় ভোট পর্ব মেটার মাস তিনেকের মধ্যেই নীতীশের এই সুর বদলে অন্য গন্ধই পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সোমবারাই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে মোদী, টিকাকরণ শুরুর আগে একাধিক রাজ্যে তুঙ্গে প্রস্তুতি