বিধানসভায় গড়াগড়ি খাচ্ছে হাজার হাজার টাকা! দাবিদার না থাকায় রহস্য ঘনীভূত
বিধানসভার বারান্দায় পাওয়া গেল ৫০ হাজার টাকা। দিন কয়েক আগে বিধানসভারই (west bengal assembly) এক কর্মী, ৫০০ টাকার (money) বান্ডিল কুড়িয়ে পান। গুনে দেখা যায় সেখানে রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু তারপর থেকে একের পর এক দিন কেটে গেলেও ওই টাকার কোনও দাবিদার এখনও পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ওই টাকা কার।

বুধবার পাওয়া গিয়েছিল ৫০ হাজার টাকা
বুধবার বেলা বারোটা। সেই সময় সাধারণভাবে কর্মব্যস্তই থাকে বিধানসভা। বিধানসভার কর্মীরা ছাড়াও অনেক বিধায়কও এসেছিলেন সেই দিন। সেদিন দুপুরে বিধানসভার বারান্দায় ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখেন, সেখানকারই এক কর্মী। গুনে দেখা যায় ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তিনি সেই টাকা বিধানসভার সচিবের কাছে জমা দেন।

কার টাকা খোঁজ করা হয়েছিল সেদিনই
জানা গিয়েছে, সেদিন টাকা পাওয়ার পরেই, বিধানসভার কর্মীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের প্রথমে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেউ টাকার খোঁজ করেছেন কিনা। পরে সেই খবর দেওয়া হয় বিধানসভার অধ্যক্ষকেও। যাঁরা সেদিন বিধানসভায় এসেছিলেন, তাঁদেরযতজনের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে, ততজনকে জিজ্ঞাসাও করা হয়েছে। কেউ সেই টাকার দাবি করেননি। তবে কেউ যদি টাকার দাবি করেন, তিনি প্রমাণ দিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।

উঠছে নানা প্রশ্ন
একাধিক জনপ্রতিনিধিকে ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি অফিস থেকে প্রকাশিত নারদার স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে দেখা গিয়েছেন টাকা নিতে (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা পরীক্ষা করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া)। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বিধানসভায় বিধানসভায় টাকা পড়ে থাকতে দেখে কেউ না তুলে নেওয়ায়, কিংবা দাবি না করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রহস্য ঘনীভূত
সামনেই বিধানসভা ভোট। আর তার আগেই চলছে এখনও পর্যন্ত বিধানসভায় সব থেকে বড় দলবদল। যেসব কংগ্রেস কিংবা বাম বিধায়করা একটা সময়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এই মুহুর্তে বিজেপিতে। এখনও অনেক বিধায়ক দলবদল করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হাতবদলের জন্য এই টাকা আনা হয়েছিল। এই টাকা কি দলবদলে ব্যবহার করার জন্য আনা হয়েছিল? নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভার কর্মীরা এত টাকা রাখতে পারেন না। তাই এরপরের নিশানা হচ্ছেন বিধায়করা। তবে কোনও বিধায়ক কি টাকা এনে সেই টাকা অন্য কোনও বিধায়কের হাতে, তুলে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা পড়ে যায় মাঝপথেই, তার তদন্ত করতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।