কলকাতা : গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো, মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তবে এটা যে সময়ের কথা, তখন নরেনকে কেউ বিশেষ চিনতেন না। কিন্তু সেই নরেনই ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিলেন খেলার মাঠে।
নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামের সেই ছেলে তখনও হিন্দু পরিব্রাজক নন, দেশের-দশের স্বামীজি নন, ভারতের বিবেক মুক্তির পথপ্রদর্শক নন। তিনি তখন শুধুই নরেন। বেশ ভালো খেলোয়াড়, উজ্জল চরিত্রের কিশোর। এই নরেন কিন্তু ইংরেজদের খেলার মাঠে রীতিমতো নাজেহাল করেছিলেন বল হাতে। সেই ঘটনা অনেকেই জানেন না।
বর্তমানের স্কটিশ চার্চ কলেজ, তৎকালীন জেনারেল অ্যাসেম্বলি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছিলেন নরেন্দ্রনাথ। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন নরেন। অম্বুচরণ গুহর আখড়ায় যাতায়াত ছিল তাঁর। কুস্তি, মুগুর ভাঁজার সাথে সাথে শরীর গঠনের দিকে কড়া নজর ছিল তাঁর। তরোয়াল খেলা থেকে ফুটবল সবেতেই আগ্রহ ছিল নরেনের।
এমনকী সেসময় কলকাতার উঠতি বক্সিং চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। ১৮৮০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে খেলা ছিল সমাজের উচ্চবিত্তদের মনোরঞ্জনের বিষয়। সেসময় ব্রিটিশ শাসন।
ব্রিটিশদের কাছে খেলা বলতে জাতীয় ক্রীড়া ছিল ক্রিকেট। যার চল তখনও বঙ্গসমাজে সেভাবে হয়নি। উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে ক্রিকেট আসে কলকাতায়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এখনকার নামকরা ক্লাবগুলি।
তৈরি হয় ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব, টাউন ক্লাব। এই সন্ধিক্ষণেই নরেন নজরে পড়েন স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র ঘোষের। হেমচন্দ্র নরেনের হাতে তুলে দেন ক্রিকেট বল। তাঁরই তত্বাবধানে নরেন হয়ে ওঠে ভালো বোলার। শুরু করেন ক্রিকেট খেলা। এরকমই একদিন টাউন ক্লাবের হয়ে একটি টানটান ম্যাচে বোলার হিসেবে ব্রিটিশ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রনাথকে নামিয়ে দেন হেমচন্দ্র।
বিপক্ষে ছিল ক্যালকাটা ক্রিকেটিং ক্লাব স্কোয়াড। ম্যাচ শুরু হয়ে ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনষ সেই সময় ইডেনের বয়স মাত্র ২০ বছর। প্রায় ১৩৬ বছর আগে হওয়া এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন নরেন। একটার পর একটা উইকেট নিয়ে মাত্র ২০ রান দিয়েছিলেন তিনি। ঝুলিতে এসেছিল সাতটা উইকেট।
এই ম্যাচের পর অনেকের আদর্শ হয়ে উঠেছিলেন নরেন। তারপরের ঘটনা তো ইতিহাস। তরুণদের আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ভীষণই প্রেরণাদায়ক ছিল। জীবনে তাঁর আদর্শে আজও তরুণ প্রজন্ম প্রেরণা পায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.