সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : শ্রী শ্রী ঠাকুরের ভক্তের বাড়িতে মন্দির প্রতিষ্ঠান এই ঘাটে নামলেন স্বামীজী। আজও সেই ঘাট খ্যাতি নিয়ে অবস্থান করছে হাওড়ায়।

শিকাগো থেকে ফেরার প্রায় এক বছর পরে নৌকায় হাওড়ার গঙ্গার ঘাটে নেমেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত সেই ঘাটের বেশি পরিচিত ‘রামকৃষ্ণপুর ঘাট’ নামে পরে যার নাম হয় চিন্তামণি দে ঘাট।

শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্য ছিলেন হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর লেনের নবগোপাল ঘোষ। শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পরে তিনি স্বামীজিকে অনুরোধ করেন, তাঁর বাড়িতে গুরুর মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে। সে জন্যই ১৮৯৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমায় ১৫ জন সন্ন্যাসীকে নিয়ে বেলুড় মঠ থেকে নৌকায় রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আলমপুরের মঠ থেকে তিনটি নৌকা পেড়িয়ে তিনি হাজির হন নবগোপালের বাড়িতে এবং প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ দেবের মন্দির। নবগোপালের পৌত্র তাপস ঘোষ জানালেন গঙ্গার ঘাট থেকে তাঁদের বাড়ি অবধি স্বামীজী আসেন খালি পায়ে হেঁটে। কণ্ঠে তাঁর জেগেছিল গিরীশ ঘোষ রচিত “ কে রে ওরে দিগম্বর” গান।

তিনি নবগোপালবাবুর বাড়িতে শ্রীরামকৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। ফেরার সময়ে স্বামীজি তাঁর ব্যবহৃত সিল্কের পাগড়ি ও কিছু দুষ্প্রাপ্য দ্রব্য দিয়ে আসেন সেখানে। এখনও প্রতি বছর ওই দিনে বেলুড় মঠ থেকে সন্ন্যাসীরা একই ভাবে নবগোপালবাবুর বাড়িতে যান।

২০১৭ সালে এই ঘাট রাজ্যের হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায়। হাওড়ার স্বামী বিবেকানন্দ সার্ধশতবর্ষ জন্মোৎসব উদ্‌যাপন কমিটির প্রস্তাব বিবেচনা করে ওই ঘাটকে হেরিটেজ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন। ২০১৩ সালে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে একটি ফলক বসানো হয়েছে। স্বামীজির পৈতৃকভিটার অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ তার আবরণ উন্মোচন করেছিলেন।

ভারতের আরও অনেক জায়গাতেই এমন গঙ্গারতি করা হয় প্রতি দিন সকাল-বিকেল। কিন্তু, ইচ্ছে থাকলেও হয়তো গিয়ে পৌঁছনো হয়ে ওঠে না বেনারস বা হরিদ্বারে। তাদের জন্য হাওড়া স্টেশনের খুব কাছের এই রামকৃষ্ণপুর ঘাট সেরা জায়গা বলা যেতেই পারে। এখানে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গারতি। ফেরিঘাটের পাশেই বিশাল বাঁধানো চাতাল নেমে গিয়েছে গঙ্গায়। সেখানেই এখন গঙ্গারতি হয়। শীতের সময় গঙ্গারতি শুরু হয় সন্ধে সাড়ে ছ’টায়। বছরের বাকি দিনগুলিতে তা শুরু হয় সন্ধে ৭টায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।