সিডনি: অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও চলতি টেস্ট সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে যেন দেখা দিয়েছে চোট-আঘাত সমস্যা। মহম্মদ শামি, উমেশ যাদবরা ছিটকে গিয়েছেন আগেই। আর শনিবার তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ-হাতের কনুইয়ে চোট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত। প্যাট কামিন্সের একটি শর্ট বলের লাইন পন্ত মিস করলে তা গিয়ে আঘাত করে তাঁর কনুইয়ে।
মাঠেই যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে। সে সময় ৩৫ রানে ব্যাট করছিলেন পন্ত। যদিও মাঠে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর পুনরায় ব্যাট ধরেন পন্ত। কিন্তু পূজারাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া পন্ত চোটের পরেই মনোসংযোগ হারান এবং এরপর ব্যক্তিগত রানের খাতায় মাত্র এক রান যোগ করে হ্যাজেলউডের ডেলিভারিতে স্লিপে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, পন্ত ফিরতেই ধস নামে ভারতীয় শিবিরে। পরের ওভারেই ফিরে যান পূজারা। ২৪৪ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
উদ্বেগ বাড়িয়ে ইনিংসের শেষে ভারতীয় শিবিরের থেকে জানানো হয় পন্তকে স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পরিবর্ত হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটকিপিং গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে একাধিক ক্যাচ ফস্কানো পন্তকে না পাওয়ার বিষয়টি চিন্তা না বাড়ালেও দ্বিতীয় ইনিংসে পন্তকে ব্যাটিংয়ে পাওয়া যাবে কীনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে।
পন্ত ছাড়াও চোটের কবলে রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাটিংয়ের সময় স্টার্কের বাউন্সারে বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। চোট নিয়ে ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৮ রান করে ইনিংসের শেষ অবধি লড়াই চালালেও এরপর ফিল্ডিংয়ে নামেননি জাড্ডু। ড্রেসিংরুমে আঙুলে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ভারতীয় শিবিরের পক্ষে জাদেজার চোট নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও পন্তের পাশাপাশি এই অলরাউন্ডারের চোটও সমান উদ্বেগ বাড়িয়েছে শিবিরে। উল্লেখ্য, বল হাতে প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক ৪টি উইকেট পেয়েছিলেন জাদেজা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.