স্টাফ রিপোর্টার, বোলপুর: বিক্ষোভ-অবস্থানে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন সকালে যখন রাস্তা ফেরতের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল উপাচার্য এবং অধ্যাপকরা, ঠিক তখনই ছাতিম তলার বাইরে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন। অন্যদিকে, উপাসনা গৃহের সামনে বোলপুর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে।
কালীসায়র থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিলোমিটার রাস্তা সেই রাস্তা রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ফেরত নিয়ে নিয়েছে, সেই রাস্তা ফেরতের দাবিতে এ দিন মৌন বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মীরা।
আবার একই সময়ে ছাতিমতলার বাইরে বিশ্বভারতীর একদল ছাত্রছাত্রী, যাঁরা ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ নামেই পরিচিত, তাঁরাও গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি ছিল, বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকের ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে অনৈতিক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁকে পুনরায় ফেরত আনতে হবে।
এদিকে, উপাচার্যের অবস্থান শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভে শামিল হন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছেন। অবস্থান শেষের পর রবীন্দ্রভবনের সামনে ছাতিমতলা থেকে দরজা দিয়ে বেরনোর সময় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়। একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উপাচার্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। ছাত্রদের অভিযোগ উপাচার্য ভয় পেয়েছেন তাই তাঁরা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না । তাঁরা এরপরে বৃহত্তর প্রতিবাদে শামিল হতে চলেছেন ।
আবার এর কিছুটা দূরে বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দিরের উল্টোদিকে রাস্তায় হস্তশিল্প ব্যবসায়ীরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের অভিযোগ, গত শীতের পৌষমেলার সময় স্টল করার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা নিয়েছিলেন, তা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘গত বছরের পৌষমেলার পরে করোনা আবহে আমরা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। এ বারের শীতে অতিমারির কারণে মেলা বাতিল হয়েছে। তবুও আমাদের টাকা ফেরত দেয়নি বিশ্বভারতী। তাই আমরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।’’
এদিন উপাসনা গৃহের সামনে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের পদ্ম পতাকা!শুধু তাই নয়, পতাকা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর সমর্থনে পড়েছে পোস্টারও। পোস্টারে লেখা, “আমরা অনুপম হাজরা ও উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর পাশে আছি৷” বিশ্বভারতীর তালধ্বজ বাড়ি, উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলার সামনে বেড়া এলাকা জুরে এই বিজেপির পতাকা ও পোস্টার পড়েছে। বলাই বাহুল্য, বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এঘটনা নজিরবিহীন। শনিবার সকালে চোখে পড়ে এদৃশ্য। তারপরই পতাকা ও পোস্টার খোলার কাজ শুরু করেন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তাকর্মীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.