সিডনি: স্মিথের শতরানে অজিদের ৩৩৮ রানের জবাবে দ্বিতীয়দিন ভারতের প্রথম ইনিংসে একটা ভালো শুরু উপহার দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। যদিও দিনের শেষে দ্রুত দুই উইকেট খুঁইয়ে খেলা শেষ করে ছিল টিম ইন্ডিয়া। তবুও টেস্ট ক্রিকেটে গিলের অভিষেক অর্ধশতরানে ভারতের প্রথম ইনিংসের শুভ সূচনা হয়েছিল বলা যায়। আর তৃতীয়দিন প্রথম সেশনে গতদিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারার লড়াকু ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয়দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮০।
তৃতীয়দিন প্রথম সেশনে দুই উইকেট খোয়ালেও চেতেশ্বর পূজারার দৃঢ়চেতা ব্যাটিং দারুণভাবে লড়াইয়ে রেখেছে টিম ইন্ডিয়াকে। দ্বিতীয়দিনের শেষে যথাক্রমে ৯ রান এবং ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন পূজারা এবং রাহানে। তৃতীয়দিন খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি অধিনায়কের ব্যাটিং। কামিন্সের ডেলিভারিতে ক্লিন বোল্ড হয়ে মাত্র ২২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বক্সিং-ডে টেস্টের সেরা। রাহানে করেন ৭০ বলে ২২ রান। এরপর ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমে ৩৮ বল ফেস করেন হনুমা বিহারী। কিন্তু ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রান সংগ্রহ হরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউটের শিকার হন তিনি।
নইলে অজি বোলারদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারতেন তিনি। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি অবধি ‘মিস্টার ডিপেন্ডবল’ পূজারাকে ভরসা দেন উইকেটকিপিং গ্লাভস হাতে ব্যর্থ ঋষভ পন্ত। লাঞ্চ অবধি পঞ্চম উইকেটে পূজারা-পন্তের অবিভক্ত পার্টনারশিপে যোগ হয় ৩৮ রান। পন্ত অপরাজিত ২৯ রানে। অন্যদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকা পূজারা ১৪৪ বলে অপরাজিত ৪২ রানে। বাউন্ডারি ৪টি। এখন দেখার পূজারাকে লম্বা সঙ্গত দিয়ে উইকেটরক্ষক গ্লাভস হাতে পারফরম্যান্সের ঘাটতি ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিতে পারেন কীনা তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
এর আগে শুক্রবার সিডনিতে বল হাতে এবং ফিল্ডিংয়ে দুরন্ত জাদেজা অজি ব্যাটিংকে ৩৩৮ রানের বেশি বাড়তে দেননি। জবাবে ১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতের প্রত্যাবর্তনটা ভালো না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গিল৷
শুক্রবার এসসিজি-ত নতুন বলে অজি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাব তনয়ের সাহসী ব্যাটিংও প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়৷ শেষ পর্যন্ত ৫০ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ ওপেনার৷ ১০১ বলের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি মারেন গিল৷ ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আউট হন রোহিত৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.