মাদ্রিদ: বছরের প্রথম তুষারপাতে বরফাবৃত মাদ্রিদ৷ বিমানবন্দর থেকে খেলার মাঠ হয়ে উঠেছে দুধ সাদা৷ তুষার ঝড়ের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো বিলবাও ম্যাচ। বারাজাস বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবল তুষারপাতের কারণে চার ঘণ্টার বেশি সময় বিমানে আটকে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
শনিবার অ্যাটলেটিকোর মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় ভারতীয় সময় রাত পৌনে ন’টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা আগে ম্যাচ স্থগিত করার কথা জানায় স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। ম্যাচের নতুন সূচি পরে জানানো হবে। ভারী তুষারপাতের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় শুক্রবার হাজারও স্প্যানিশ ড্রাইভার তাদের গাড়িতে আটকা পড়েন৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় মাদ্রিদ বিমানবন্দরও।
অ্যাটলেটিকো বিলবাও-এর তরফে জানানো হয়, তাদের দল যে বিমানে ছিলেন, সেটি মাদ্রিদের বারাজাস বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না-পেরে ফিরে আসে। ফলে ম্যাচটি খেলা সম্ভব হয়নি৷
অন্য দিকে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত দেড়টায় ওসাসুনার মাঠে খেলার কথা স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের৷ মাত্র ৪৫ মিনিটের যাত্রা পাম্পলোনা। কিন্তু রিয়ালকে মাদ্রিদের বারাহাস বিমানবন্দরে বসে থাকতে হলো চার ঘণ্টা! তুষারঝড়ের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ওসাসুনার মাঠে খেলতে যেতে রিয়াল মাদ্রিদের সড়কপথেও চার ঘণ্টার একটু বেশি লাগে। সেখানে উড়োজাহাজে উঠে চার ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে রিয়ালকে। প্রচণ্ড ঝড়ে আকাশপথ অনিরাপদ বলেই বিবেচিত হচ্ছিল। ঝড় থামার পরও সঙ্গে সঙ্গে রওনা হওয়া যায়নি। প্লেনের ইঞ্জিন ও প্রপেলার যাত্রার জন্য উপযুক্ত হতে বেশি কিছুটা সময় লেগে যায়৷
১৯৫৮ সালে এমনই এক তুষারঝড়ের পর উড়তে গিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এক প্রজন্ম হারিয়ে গিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের ভাগ্য ভালো, এমন কিছু দেখতে হয়নি৷ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের বিমান ওড়ে৷ নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর পাম্পলোনাতে পৌঁছেছে রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়রা।
এমন পরিস্থিতিতেও লিগ খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিরক্ত রিয়ালের কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরে আটকে থাকার সময় এক সদস্য বলেন, ‘এখানে আমরা ইঁদুরের মতো আটকা পড়েছি।’ আরেকজন কর্মকর্তা ওসাসুনা পৌঁছানোর পরও বিরক্তি প্রকাশ করে জানান, ‘এটা চরম পাগলামি। এটা ব্যাখ্যার অতীত।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.