দিদির কাছে ক্ষমা চেয়েও মিলল না হারানো পদ! সন্দেহের বাতাবরণ জিতেন্দ্রকে ঘিরে
সব ছেড়ে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গী হওয়ার আগের দিনেই ভোলবদলে তিনি আবার তৃণমূলে। সেজন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থীও। তবু মিলল না হারানো পদ। নিজের ভুলেই আসানসোল পুর নিগমের পুর প্রশাসকের পদ হারাতে হল তাঁকে।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাতে তৈরি অবিশ্বাস
আসানসোলের পুর নিগমের নতুন পুর প্রশাসক হলেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। ১৬ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্তফা দিয়েছিলেন ওই পদে। অবশেষ ৯ জানুয়ারি শূন্য পদে বসলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। জিতেন্দ্র তিওয়ারি জেলা তৃণমূলের সভাপতি-সহ সমস্ত পদ ত্যাগ করেছিলেন। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎও করেন।

ভুলের জন্য মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন জিতেন্দ্র
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি দল ছাড়ার পথ প্রশস্ত করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়দের আপত্তিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। শেষে তিনি কলকাতায় এসে বৈঠক করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। তারপর তিনি প্রকাশ্যে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।

দিদিকে দুঃখ দিয়ে কিছু করব না, বলেন জিতেন্দ্র
জিতেন্দ্রকে ফের দলে অন্তর্ভুক্ত করলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি হারানো পদ। এতদিন পর পুর প্রশাসক পদে নতুন একজনকে নিয়োগ করা হল। জিতেন্দ্র তিওয়ারি পুরনো দলে ফেরার পর মন্তব্য করেছিলেন, আমার আচরণে দিদি কষ্ট পেয়েছে। দিদিকে দুঃখ দিয়ে কিছু করব না। যা বলেছি, তা ভুল হয়েছে। আমি ফের দলের কাজ করব।

দিদির কাছে ক্ষমা চেয়েও তাঁর পদপ্রাপ্তি হল না
কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই স্বীকারোক্তির পরও তিনি ব্রাত্য থেকে গেলেন। দিদির কাছে ক্ষমা চেয়েও তাঁর পদপ্রাপ্তি হল না। আসলে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পদ ফিরিয়ে দিতে কুণ্ঠা করল তৃণমূল। কেননা জিতেন্দ্র তৃণমূলে ফেরার পরও কিছু বিবৃতি, কিছু পদক্ষেপে সন্দেহ লুকিয়ে ছিল। যে হোটেলে তিনি সপরিবারে ছিলেন, সেই হোটেলে বিজেপির বৈঠক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।