কাটোয়া: পাখির চোখ বিধানসভা ভোট। আজ রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দিনভর পূর্ব বর্ধমানে ঠাসা কর্মসূচি নাড্ডার। কাটোয়ায় এক কৃষকের পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়রা। কাটোয়াতেই এরপর দলের সভায় বক্তব্য রাখবেন নাড্ডা।

ভোটের আগে সরগরম বাংলা। ফের একবার ‘বদল’-এর ডাক বিজেপির। তৃণমূলকে সরিয়ে বাংলা দখলে মরিয়া পদ্ম-শিবির। সেই লক্ষ্যেই ঘুটি সাজাচ্ছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। সপ্তাহ খানেক আগেই রাজ্য ঘুরে যাওয়ার পর ফের একবার বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ কাটোয়ায় ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচির সূচনা করবেন বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন নাড্ডা। কী কী থাকছে সেই মধ্যাহ্নভোজে? জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

মেনুতে থাকছে, ভাত, ডাল, সবজি, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, ফুলকপির তরকারি। শেষে থাকছে চাটনি ও পায়েস। এর আগেও রাজ্যে এসে একইভাবে আদিবাসী, মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। যা নিয়ে পরে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে শাসক তৃণমূলকে।

এদিকে, নাড্ডার সফর ঘিরে সেজে উঠেছে শহর বর্ধমান। গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। রাস্তায় নাড্ডার বিশাল-বিশাল কাটআউট। ফ্লেক্স-ফেস্টুনে ছয়লাপ এলাকা। কাটোয়াতেও বিজেপি ফ্লেক্স-ফেস্টুন টাঙিয়েছে। তবে তাদের ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের পতাকা। কাটোয়ার বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের পতাকা, ব্যানারে ঢেকেছে। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যেই একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে। একদিকে ‘উন্নয়ন’-কে হাতিয়ার করে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। অন্যদিকে, রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে একুশের ভোটে পালাবদলের ডাক বিজেপির।

নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে বাম-কংগ্রেসও। আসন্ন বিধানসভা ভোটে জোট করে লড়ছে দুই দল। বিজেপি, তৃণমূলের পাশাপাশি নিজেদের মতো করে করম্সূচি সাজিয়ে বাংলায় দখলের লড়াইয়ে রয়েছে বাম-কংগ্রেসও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।