বর্ধমানঃ  মধ্যহ্নভোজেও রাজনীতি! খাবারের মান দেখা নিয়েও রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। কার্যত সেই সংঘাতের কারণে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার মধ্যহ্নভোজ। যদিও শেষমেশ ‘লাঞ্চ পলিটিক্সের’র গেঁড়ো কাটিয়ে খেতে বসেন নাড্ডা।

কিন্তু ঘটনা কি ঘটেছিল? জানা যায়, কর্মসূচি অনুযায়ী বর্ধমান সফরে দরীদ্র এক কৃষকের পরিবারের দুপুরের আহার সারবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

আর তাই কাটোয়ার মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে একেবারে সকাল থেকেই ছিল ব্য়স্ততা। অতিথি আসছেন বলে কথা! সে আবার সাধারণ অতিথি নন। বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলের সভাপতি। তাঁর আদর-অপ্যায়নে যেন কোনও ত্রুটি না হয়। আর সেই লক্ষ্যেই সকাল থেকে ব্যস্ততা মথুরা মন্ডলের। ভাত থেকে বেগুনি তালিকাতে কি নেই। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়।

সূত্র বলছে, কোনও ভিভিআইপি যদি কোথাও খেতে যান সেখানে থাকেন একজন ফুড সেফটি অফিসার। তাঁরা প্রথমে খাবারটি চেখে দেখেন ঠিক আছে কিনা! এরপর দেওয়া হয় সেই সংশ্লিষ্ট অফিসারকে। সেই মতো এদিন নাড্ডার খাবারও চেখে দেখার কথা ছিল কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অফিসারের। সবকিছু ঠিক আছে কিনা।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওই অফিসার রাজ্য-পুলিশের এক আধিকারিককে বলেন প্রথমে খাবারটি খেতে। আর তা কিছুতেই করতে রাজি হননি রাজ্যের আধিকারিক। এমনটাই অভিযোগ। যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ আটকে যায় খাবারের মান যাচাই করার প্রক্রিয়া। যদিও শেষমেশ সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে খাবারের মান যাচাই করেন কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি আধিকারিকই।

এদিনের মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল- ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস। পরিবারের সবার সঙ্গে মিলেই খাবার খেয়েছেন নাড্ডা। কথা বলেছেন পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটান নাড্ডা। কৃষকবাড়িতে গিয়ে গোমাতার সেবা করেন নাড্ডা।

উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির আগমন ঘিরে সাজো সাজো রব ছিল কাটোয়ার মুস্থূলি গ্রাম। রঙ করা হয় মথুরাবাবুর বাড়ি। দেওয়া হয় আলপনা। ফুল দিয়ে সাজানো হয় গোটা বাড়ি। একই সঙ্গে কড়া নিরাপত্তায় একেবারে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা।

কোনও ভাবেই যাতে ডায়মন্ডহারবারের ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্যে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোটা এলাকার পাশাপাশি, কৃষকদের পরিবারেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ছিল কেন্দ্রের নিরাপত্তার কর্মীরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।