বর্ধমানঃ দেশের একপ্রান্ত উত্তাল হয়ে ওঠেছে কৃষক আন্দোলনে। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা সামাল দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলায় কৃষকদের মন পেতে মরিয়া বিজেপি। আর তা করতেই ফের একবার বাংলায় আসছেন জে পি নাড্ডা। বাংলার কৃষকের ঘর থেকে শস্য ভান্ডার সংগ্রহ করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, পূর্ব বর্ধমানে কৃষকের ঘরে খাবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডা।
যদিও এর আগে জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ। বাগুইআটি-তে মতুয়া পরিবারের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। কখনও অমিত শাহ তো কখনও নাড্ডা এসে খেয়ে গিয়েছেন। আজ শনিবার পূর্ব বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির।
কর্মসূচির ফাঁকেই, কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে দুপুরে খাবেন জেপি নাড্ডা। নিজে হাতে রান্না করবেন কৃষকের স্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, মেনুতে থাকবে, ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা,পাঁচমিশালি তরকারি, সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস। সকাল থেকেই চলছে রান্নাবান্না।
তবে এর আগে শাহ কিংবা নাড্ডা গরিব আদিবাসী পরিবার কিংবা বাউল পরিবারে খাওয়াদাওয়া সারলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনও কথা কেউ বলেননি বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এবারে যাতে তেমন অভিযোগ না ওঠে সেদিকে নজর বিজেপি নেতাদের। শুধু তাই নয়, নাড্ডাকে অ্যাপ্যায়ণকারী কৃষকের স্ত্রীর আশা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হবে।
আশা রাখছেন, ‘বিজেপি সভাপতি কে খেতে দেবার সময় সুযোগ পেলে বলবো রাজ্য সরকার থেকে কোন সাহায্য পায়নি।’অন্যদিকে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান গৌতম ঘোষালের দাবি, জেপি নাড্ড যে পাঁচ জন কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুঠো করে শস্য নেবেন, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। দল ইচ্ছা করলে ওই কৃষক পরিবার গুলিকে বারণ করে দিতে পারত। ওঁরা এক মুঠো শস্য বিজেপি-কে দেবেন ঠিকই কিন্তু ভোট দেবে তৃণমূলকেই।
উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই বর্ধমান সফরকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক পারদ ওঠানামা। খোদ বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপির জেলা সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জে পি নাড্ডার বর্ধমান সফর নিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায় জানান, অন্যান্যবারের মতই সর্বভারতীয় সভাপতির সফর নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। এদিকে, বিজেপির এই সর্বভারতীয় সভাপতির বর্ধমান সফর এবং ব্যাপক সমাবেশের দাবিকে রীতিমত কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু।
তিনি বলেন, “ওদের কয়েকজন নেতা মদ খেয়ে উল্টোপাল্টা বকছেন। তাই জনবিস্ফোরণ হবে কি হবে না সেটা শনিবারই বর্ধমানের মানুষ দেখতে পাবেন।”
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় কর্মসূচি শেষ করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আসবেন জেলার সদর শহর বর্ধমানে। এখানে প্রথমেই তিনি বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সর্বমঙ্গলা মন্দির দর্শনের পর বর্ধমান শহরে রোড শো করবেন জে পি নাড্ডা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.