সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা, ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান চলাচল নিয়ে শঙ্কা
ভারতে আরও বাড়ল ব্রিটিশ করোনা স্ট্রেনের সংক্রমণ। দেশে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০০ ছুঁই ছুঁই। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০। এরই মাঝে ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা ফের চালু হওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে। ব্রিটেনে করোনার নয়া স্ট্রেনে সংক্রমিতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যার জেরে সেদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে।

ব্রিটেন থেকে ২৫৬ জন ভারতে এসে পৌঁছায়
এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ইংল্যান্ড থেকে প্রথম বিমান দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় শুক্রবার। বিমানে পাইলট এবং কেবিন ক্রু মিলিয়ে ২৫৬ জন ভারতে এসে পৌঁছায়। এরপরই রিটেন ফেরত যাত্রীদের করোনা টেস্ট নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে।

যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ চরমে উঠেছে
ইংল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ধরা পড়ায় গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। শুক্রবার থেকে একাধিক নিয়মাবলী জারি করে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কোভিড টেস্ট ও আইসোলেশন নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। অনেককে প্রায় রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাতেই যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ চরমে উঠেছে।

সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা
বর্তমানে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, সপ্তাহে মোট ১৫ জোড়া বিমান দুই দেশের মধ্যে চলবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডে ধরা পড়া নয়া করোনার স্ট্রেন ভারতে মোট ৯০ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। ফলে সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

শহরে যাওয়ার জন্য অন্তত ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে
দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আসা যাত্রীরা, তাঁদের নিজেদের শহরে যাওয়ার জন্য অন্তত ১০ ঘণ্টা পরে বিমান ধরতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের শেষ ১৪ দিনের সফর সূচি জানাতে হবে। একই সঙ্গে ভারতে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিডের নেগেটিভ আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে যাত্রীদের।