স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ফের সৈয়দ আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)-এ বড়সড় ভাঙন ধরালো তৃণমূল৷ দিন কয়েক আগেই ঘাসফুল শিবিরে শামিল হন এআইএমআইএমের যুব দলের রাজ্য সভাপতি সফিউল্লাহ খান। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গ মিমের কার্যকরী সভাপতি তথা রাজ্যের সাংগঠনিক প্রধান শেখ আবদুল কালাম।
দল পরিবর্তনের পর বিজেপি–র নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলকে ‘বিষাক্ত হাওয়া’ বলে আক্রমণ করেন শেখ আবদুল কালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে একটা শান্তির বাতাবরণের আবহাওয়া দেখে এসেছি। হঠাৎ করে একটা বিষাক্ত হাওয়া আমাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলে চলেছে। যা আমাদের ক্ষেত্রে অতি ভয়াবহ। তাই আমরা সব কিছু ভুলে এক হয়েছি এই বিষাক্ত হাওয়াকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্মূল করার জন্য।’
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকের পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন আবদুল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে আমাদের দলের সাথী হয়ে আগামীদিন কাজ করবেন শেখ আবদুল কালাম। তিনি পশ্চিমবঙ্গ মিমের কার্যকরী সভাপতি তথা রাজ্যের সাংগঠনিক প্রধান। তাঁর সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় মিমের সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে।’
কদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন মিম প্রধান সৈয়দ আসাউদ্দিন ওয়েইসি৷ হুগলির ফুরফুরা শরীফে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জিতেছেন ৫টি আসনে। ভোটের হার ১.২৪ শতাংশ। বিহারে বেশ কিছু আসনে ভোট কেটে তারা বিজেপি বিরোধী মহাজোট প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ হয়েছে বলেও পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণ। এ বার এমআইএম এ রাজ্যেও ভোটে লড়তে চায়। তাতে বিজেপির সুবিধা হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ বাংলায় বহু আসনে নির্ণায়ক এই সংখ্যালঘু ভোট। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে রাজ্যের শাসকদল, এমনকী বাম-কংগ্রেসও। আর এমন পরিস্থিতিতে মিমকে পালটা চাপে ফেলতে মিম-কে ভাঙতে তত্পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
দক্ষিণবঙ্গে বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাতেও মিমের তৎপরতা বিশেষ চোখে পড়ছে। তা নিয়েও সতর্ক থাকতে হচ্ছে তৃণমূল। এই দুই জেলাতেই বহু আসনে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক কিন্তু মুসলিম ভোট। বীরভূমেও তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বলেছেন, ‘এমআইএম-কে কেউ বিশ্বাস করবেন না। দলটা বিজেপির দালাল। বিহারে ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছে।’ তাই মিম-এর প্রতি আলাদা করে নজর দিচ্ছে তৃণমূল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.