চাপের মুখে নতি স্বীকার চিনের! করোনার উৎস খুঁজতে উহান যাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
শেষ পর্যন্ত হু-এর কর্তাদের চিনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানাল বেজিং। তবে এখনও কতদিন দিনের জন্যে সেই অনুমোদন দেওযা হব তা জানানো হয়নি। এর আগে একাধিকবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দলকে চিনে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল
এর আগেও হু-এর এক বিশেষজ্ঞ দলের চিনের উহানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেবার অনুমোদন মেলেনি। এবার অনুমোদন পেলে সেই দল উহানে গিয়ে করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে তদন্ত করবে। যদিও গতবার তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং হু প্রধান।

ফিরে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
বুধবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দলের দুজন সদস্যের একজন দেশে ফিরে গিয়েছেন। আর দ্বিতীয় জন ফিরছেন। তিনি আপাতত তৃতীয় কোনও দেশে আটকে আছেন। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই তাঁরা চিনে প্রবেশ করতে পারেননি বলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

উহানেই প্রথম করোনা ভাইরাসের খবর সামনে আসে
২০১৯ সালের শেষ দিকে উহানেই প্রথম করোনা ভাইরাসের খবর সামনে আসে। তার পর থেকে পরের এক বছরে গোটা বিশ্বকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। চিন থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি বলে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রায় এক মাস ধরে চিনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর ডিসেম্বরে ঠিক হয় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারী দল চিনে যাবে।

দল গঠন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সেইমতো দল গঠন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিন শেষ মুহূর্তে সমস্যা তৈরি করে। তার ফলে সফর বাতিল হয়ে যায়। এই ঘটনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে হতাশাজনক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সংস্থার ডিরেক্টর জেনেরাল টেড্রস আধানম গ্য়াব্রিসিয়াসের দাবি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কীভাবে ওই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হল?
এই তদন্তের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১০ জনের দল তৈরি করেছিল। তারা উহানে গিয়ে প্রাণী থেকে কীভাবে কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার কথা ছিল। আর কীভাবে ওই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হল, তাও জানার চেষ্টা করত বলে খবর। কিন্তু তদন্তকারী দল যদি সেখানে যেতেই না পারে, তাহলে আসল কারণ কীভাবে জানা যাবে, উঠছে সেই প্রশ্ন।