স্টাফ রিপোর্টার, জলপাইগুড়ি: শিয়রে কড়া নাড়ছে একুশের নির্বাচন। কে হবেন বাংলার পরবর্তী প্রশাসক? মসনদ ধরে রাখতে মরিয়া শাসক শিবির৷ পিছিয়ে নেই বিরোধী দল গুলিও। ফলে পায়ের নীচের মাটি শক্ত রাখতে এবার দোষ ত্রুটি কোথায় উত্তর খোঁজার চেষ্টা শুরু হল তৃনমূলের ম্যারাথন বৈঠকে।
শুক্রবার ব্লক স্তর থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত ক্ষোভ বিক্ষোভ মেটাতে আলোচনায় বসেন তৃনমূল নেতৃত্ব। ছিলেন তৃনমূলের জলপাইগুড়ি জেলার পর্যবেক্ষক ওম প্রকাশ মিশ্র,দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী সহ কোর কমিটির সদস্যরা।বানারহাট, নাগরাকাটা, রাজগঞ্জ সাংগঠনিক ব্লকের নেতাদের ডেকে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়।নেতৃত্ব কে পেয়ে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন অনেকেই। তবে ক্ষোভ অভিমান ভুলে আপাতত ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সকলকে।
দলের জলপাইগুড়ি জেলার পর্যবেক্ষক ওম প্রকাশ মিশ্র জানান, ক্ষোভ অভিমান থাকতেই পারে তবে তা এখন বহিপ্রকাশের সময় নয়।এখন সব বিরোধ ভুলে ঝাপিয়ে পড়ার সময়।বিজেপিকে ঠেকাতে এখন সকলকে হাতে হাত রেখে ঝাপিয়ে পড়ার বার্তা দেওয়া হয় বৈঠকে।
ওম প্রকাশ মিশ্র জানান, প্রতিটি সাংগঠনিক ব্লকের সাথেই আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করা হবে।শোনা হবে সকলের বক্তব্য। কারন সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিপক্ষ বিজেপি কে ঠেকাতে এখন সাংগঠনিক শক্তির উপরেই জোর দিচ্ছেন তারা।
পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কথা পৌঁছে দেওয়া হবে ঘরে ঘরে। তৃনমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী জানান, শনিবার ধূপগুড়ি, সদর এবং শহর কমিটির সাথে আলোচনায় বসা হবে। সকলের বক্তব্য শোনা হচ্ছে।সমস্যা থাকলে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।
তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলেই জানান তিনি।ওম প্রকাশ মিশ্র আরও জানিয়েছেন, এখন একটা লক্ষ বিধানসভা নির্বাচন।দলের অবস্থান আগের চাইতেই ভালো বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে প্রতিপক্ষ কে পরাজিত করাই লক্ষ্য হোক সেই বার্তাই দেওয়া হল আলোচনায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.