জাকার্তা: ছয় বছরের ব্যবধান, ফের একবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শিরোনামে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। এবার ইন্দোনেশিয়ার বোয়িং বিমান উড়ানের কিছু পরেই কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে উড়ানের কিছু পরে দুর্ঘটনায় এখনো ‘নিখোঁজ’ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান।

বিবিসি জানাচ্ছে, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন ইন্দোনেশিয়ার বিমানটিকে ৫৯ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে দেশের কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাকের দিকে যাচ্ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমানটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, এবারও কি ফিরে এলো সেই অভিশপ্ত মালয়েশিয়ান মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ নিখোঁজের মতো দুর্ঘটনা।

তবে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এবারের নিখোঁজ বিমানটি ২৭ বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৫০০ সিরিজের। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি বিমান সমুদ্রে ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় ১৮৯ যাত্রী নিহত হন।

বিবিসি জানিয়েছে, বিমানটি যেখান থেকে নিখোঁজ হয়, তার কাছাকাছি একটি দ্বীপের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের ধারণা, সেগুলো নিখোঁজ হওয়া বিমানের।

ঠিক একইভাবে ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া থেকে উড়ানের পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ বিমান। দুর্ঘটনার এত বছর পরেও বিমানটি এখনো নিখোঁজ তালিকাভুক্ত। তবে এই বিমানের কিছু ধংসাবশেষ বিভিন্ন সময়ে ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু দ্বীপে মিলেছে বলে দাবি করা হয়।

সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়া মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানে১৫টি দেশের ১২ জন কর্মী ও ২২৭ জন যাত্রী সহ মোট ২৩৯ জন ছিলেন। এদের অধিকাংশই চিনা। বিমানটি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুর থেকে উড়ানের পরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই বিমান উদ্ধারে প্রতিবেশি ইন্দোনেশিয়া সহ বিরাট আন্তর্জাতিক সমুদ্র অভিযানে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশ। কখনো দাবি করা হয়, বিমানটি অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা, কখনো বলা হয় দুর্ঘটনা। তবে আশ্চর্যজনক বিষয়, এই বিমানটি এখনো নিখোঁজ তালিকাভুক্ত।

এবার ইন্দোনেশিয়ার সংযোগ কেটে যাওয়া বিমান ঘিরে জন্ম নিচ্ছে এমনই প্রশ্ন। চলছে উদ্ধারকাজ। ইন্দোনেশিয়া সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর উদ্ধারের গতি প্রকৃতি জানানো হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।