আমদাবাদ: আমরা তথাকথিত আধুনিক জগতের সদস্য। কিন্তু আজও পুরুষতন্ত্রের যাঁতাকলে পিষ্ট নারী সমাজ। তাঁদের পোশাকআশাক হোক বা ব্যক্তি স্বাধীনতা সব কিছুতেই পুরুষের রক্ত চক্ষুর আস্ফালন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে বারবার সোচ্চার হয়েছে নারী জাতি। আরও একবার জাগ্রত প্রতিবাদের ভাষা। ক্রমাগত নির্যাতনে ক্লান্ত হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী৷
বছর ৩৭ এর ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর জিন্স পরা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে তাঁর স্বামীর৷ শুধু তাই নয়, যে সকল মেয়েরা জিন্স পরেন বা পরতে চান, তাঁদের নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন তাঁর স্বামী৷ সাবানা (নাম পরিবর্তিত) আমেদাবাদের ফতেহওয়াদির বাসিন্দা৷ বিয়ের আগে কল সেন্টারে চাকরি করতেন তিনি৷ ২০১৭ সালে জাহিদের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷ এটা সাবানার দ্বিতীয় ও জাহিদের তৃতীয় বিয়ে৷ কিন্তু বিয়ের আগেই সাবানার সামনে দুটি শর্ত রেখেছিল জাহিদ৷ প্রথম, সাবানা চাকরি ছাড়তে পারবে না৷ এবং দ্বিতীয়ত, তাঁরা সাবানার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকবে না৷ শর্ত মেনেই বিয়ে হয় তাঁদের৷
বিয়ের পর নববিবাহিত দম্পতি গিয়ে ওঠে সাবানার বাবার কিনে দেওয়া ফতেহওয়াদির অ্যাপার্টমেন্টে৷ কিন্তু মাস গড়াতেই শুরু হয় তাঁদের দাম্পত্য কলহ৷ সাবানার অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন জাহিদ৷ শুধু তাই নয় তাঁর জিন্স পরা নিয়েও শুরু হয় অশান্তি৷ জাহিদের বাবার বক্তব্য, তাঁরা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সদস্য৷ তাই সাবানা তাঁর স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে পারবেন না৷ শুধু জাহিদের সঙ্গে নয়, এর পর ছোটোখাটো ইস্যুতে শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গেও বিবাদ শুরু হয় তাঁর৷
দিনের পর দিন এই ঝামেলায় তিতিবিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সাবানা৷ কিন্তু কিছু সময় পর আবার ফিরেও আসেন ৷ ইতিমধ্যে সাবানা শুনতে পান জাহিদ তাঁর এক সহকর্মীকে বিয়ে করার তৈয়ারি শুরু করেছে৷ এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতেই সাবানাকে বেধড়ক মারধর করেন জাহিদ৷ এর পরই থানার গিয়ে জাহিদ ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নামে রিপোর্ট লেখান সাবানা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.