কৃষক বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে কীভাবে কেন্দ্রকে নাজেহাল করবে কংগ্রেস? তৈরি হচ্ছে রূপরেখা
এখনও পর্যন্ত মোট আটবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষি আইন সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এই অবস্থায় বিগত ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করেই এবার কেন্দ্রকে আরও কোণঠাসা করতে চাইছে কংগ্রেস।

আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে
এই আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হওয়ার কথা সোনিয়ার। জানা গিয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন সোনিয়া। সেখানেই ঠিক হবে কৃষকদের পাশে কীভাবে দাঁড়াবে দল।

কৃষি আইন নিয়ে শীর্ষ আদালতের দিকে বল ঠেলল কেন্দ্র
এদিকে কৃষি আইন নিয়ে এবারে দেশের শীর্ষ আদালতের দিকে বল কেন্দ্রের৷ কৃষি আইন সম্পর্কিত সমস্যা ছেড়ে দেওয়া হোক সুপ্রিম কোর্টের ওপর৷ এমনই এবার চাইছে কেন্দ্র৷ যা নিয়ে কৃষকদের বক্তব্য, নির্বাচিত সরকার সমস্যার সমাধান করতে পারছে না যা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই খারাপ৷

'আইন প্রত্যাহার হলেই ঘরে ফিরব'
শুক্রবার কৃষি আইন প্রসঙ্গে আন্দোলনরত কৃষদের সঙ্গে অষ্টম দফায় বৈঠকে বসে কেন্দ্র৷ যদিও সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি৷ কৃষকদের তরফে স্পষ্ট বলা হয় যে, আইন প্রত্যাহার হলেই ঘরে ফিরব৷ সূত্রের খবর শুক্রবারের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, কৃষি আইন সারা দেশের জন্য লাগু হয়েছে৷ শুধুমাত্র পাঞ্জাব হরিয়ানার জন্য হয়নি৷

আন্দোলনরত কৃষকেরা যা জানান
অপরদিকে, আন্দোলনরত কৃষকেরা পাল্টা জানান, আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে৷ এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতের দিকেই বল গড়াতে চাইছে কেন্দ্র৷ যদিও, আন্দোলনরত কৃষকদের পাল্টা দাবি সুপ্রিম কোর্ট বললেও তাঁরা তাঁদের দাবি থেকে সরবেন না৷ এমনকী, সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা বললেও তাঁরা সরতে নারাজ বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা৷