সুরাত: গুজরাতের বনসকণ্ঠ জেলার ছোট্ট গ্রাম নাগানা৷ এই গ্রামেরই বাসিন্দা ৬২ বছরের বৃদ্ধা নাভালবেন দলসংভাই চৌধুরী৷ বয়স ষাটের কোটায় পৌঁছলেও মনে এখনও তারুণ্যের জোয়ার৷ কিছু করে দেখানোর বেপরোয়া উদ্যম৷ এই ইচ্ছা শক্তির জেরেই তিনি আজ সফল ব্যবয়াসী৷ বহু মানুষের অনুপ্রেরণা৷

এক কথায় নাগানা গ্রামে বিপ্লব এনে দিয়েছেন নাভালবেন৷ দুগ্ধ শিল্পে এসেছে জোয়ার৷ সমস্ত প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি৷ রিপোর্ট বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার দুধ বিক্রি করেছেন তিনি৷ প্রতি মাসে তাঁর লাভ হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা৷ যা ২০১৯ এর চেয়েও বেশি৷ ওই বছর ৮৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার ব্যবসা করেছিলেন নাভালবেন৷

দু’বছর আগে নিজের বাড়িতেই একটি দুগ্ধজাত সংস্থা খোলেন ৬২ বছরের এই বৃদ্ধা৷ বর্তমানে তাঁর ৮০টি মোষ এবং ৪৫টি গরু রয়েছে৷ প্রতিদিন তার গোয়াল থেকে দুধ পৌঁছে যায় বিভিন্ন গ্রামে৷ মোট ১৫ জন কর্মী কাজ করছেন তাঁর অধীনে৷

নাভালবেনের মোট চার পুত্র সন্তান রয়েছে৷ তাঁরা সকলেই বেশ বড়৷ তবে ছেলেদের চেয়ে মায়ের রোজগার বহুগুণ বেশি৷ নাভালবেনের কথায়, ‘‘আমার চার ছেলে আছে৷ তাঁরা কেউ শহরে পড়াশোনা করছে৷ কেউ আবার কাজ করে৷ আমি ৮০টা মোষ আর ৪৫টা গরু নিয়ে একটি ডেয়ারি ফার্ম চালাই৷ ২০১৯ সালে ৮৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করেছিলাম৷ যা বনসকণ্ঠ জেলায় এক নজির সৃষ্টি করেছে৷ ২০২০ সালেও দুধ বিক্রির বাজারে আমিই ছিলাম প্রথম৷ গত বছর ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছি৷’’

প্রতিদিন সকালে গোয়ালে শুরু হয়ে যায় দুধ সংগ্রহের পর্ব৷ তিনি নিজেও সামিল হন এই কর্মযজ্ঞে৷ তার পর ১৫ জন কর্মী দুধ নিয়ে পৌঁছে যান বিভিন্ন গ্রামে৷ গত বছর অগাস্ট মাসে টুইটারে ’১০ মিলিয়নেয়ার রুরাল ওম্যান এন্টারপ্রেনার্স’- এর একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন আমুল ডেয়ারির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার আরএস সোধি৷ সেই তালিকায় ছিলেন নাভালবেন৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আমুল-এর কাছে দুধ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছিলেন তিনি৷ সর্বোপরী আমিলের ওই তালিকায় ১০ মহিলার মধ্যে শীর্ষে ছিলেন নাভালবেনই৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।