পরমাণু হামলার কথা ভাবছেন ট্রাম্প! বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে ঠেকাতে সামরিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'যা ইচ্ছে তা করা' থেকে বিরত রাখতে এবার সামরিক বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। জানা গিয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ট্রাম্প পরমাণু হামলা চালাতে পারেন। আর তাই ট্রাম্পকে আটকাতে শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান মার্ক মিলির সঙ্গে কথা বলেছেন ন্যান্সি পেলোসি। এই বিষয়ে ন্যান্সি পেলসির স্পষ্ট বক্তব্য, 'প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের কার্যকালের শেষ পর্যায়ে এসে ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই প্রেসিডেন্ট যাতে সামরিক সংঘাত শুরু না করতে পারেন অথবা পারমানবিক অস্ত্রভাণ্ডারের লঞ্চকোড ব্যবহার করে পারমানবিক হামলার নির্দেশ দিতে না পারেন, সে বিষয়ে সমস্ত সতর্কতা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে শীর্ষ সামরিক আধিকারিকদের সঙ্গে।'

ট্রাম্পকে আরও একবার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হবে
ট্রাম্পের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই তাঁকে হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখতে চাইছেন পেলোসি। পেলোসি এদিন বলেন, ট্রাম্পকে দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট আহ্বান জানান, যাতে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ভাইস প্রেসিডেন্ট যদি সেই পথে না হাঁটেন, তবে ট্রাম্পকে আরও একবার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁর বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যা করা দরকার তার সবই করা।

মৃত্যু হয় চার জনের
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পান জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি অ্যামেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। কিন্তু তাঁর শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাপিটল চত্বর৷ ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা করেন ট্রাম্প সমর্থকরা৷ মৃত্যু হয় চার জনের৷

সাসপেন্ড করা হয় ট্রাম্পের টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট
হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট৷ তবে অবশেষে হার মানেন ট্রাম্প৷ ব্যর্থ হয় রিপাবলিকানদের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টা৷ তবে মার্কিন জনগণের অধিকাংশ মনে করছেন, হিংসায় প্ররোচনা দিয়ে লজ্জা-জনক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে প্রচুর বিতর্কও হয়েছে।