শ্রীনগর: অজান্তেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়েছিল ১৪ বছরের এক বালক৷ মানবিকতার নজির গড়ে শুক্রবার তাকে ফেরত পাঠাল ভারতীয় সেনা৷ একইভাবে পুঞ্চ সেক্টরে অজ্ঞাতসারে সীমান্ত পেরনো মহম্মদ বাসিরকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান৷
এদিন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসি পেরিয়ে অজান্তেই ভারতে ঢুকে পড়েছিল ১৪ বছরের বালক আলি হায়দার৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মীরপুর জেলার বাসিন্দা সে৷ জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে এলওসি টপকে এ দেশে ঢুকে এসেছিল হায়দার৷
সেনার তরফে আরও বলা হয়, ‘‘ওই বালক একদমই নির্দোষ৷ সেনা জওয়ানরা হায়দরকে দেখার পরই তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়৷ এছাড়াও তার খাবার-দাবার, জামা-কাপড়ের বন্দোবস্তও করে ভারতীয় সেনা৷’’ মানবিকতার খাতিরে হায়দারকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিল পাক কর্তৃপক্ষ৷
এর আগে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একইভাবে অজান্তে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া মহম্মদ বাসিরকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷ পুঞ্চ সেক্টর দিয়েই পাক মাটিতে ঢুকে পড়েছিল সে৷ ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকেও ফেরত পাঠায় পাকিস্তান৷ নিজেদের আবেদনে সেই কথাও স্মরণ করায় পাক কর্তৃপক্ষ৷
সেনার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘শেষ পর্যন্ত ৬ জানুয়ারি পাক কর্তৃপক্ষ ভারতের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় আলি হায়দারকে পুঞ্চের রাওয়ালকোট ক্রসিং দিয়ে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে ১৬ বছর পাক হেফাজতে থাকা মহম্মদ বসিরকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতে৷’’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন ধরেই ফের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে এলওসি-তে৷ নিয়ন্ত্রণরেখায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ তবে এদিন মানবিকতার নজির গড়েই পাক যুবককে ফেরত পাঠাল ভারতীয় সেনা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.