সিডনি: প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় মার্নাস ল্যাবুশানে। স্টিভ স্মিথ অপরাজিত ২৯ রানে। তৃতীয়দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১০৩ রান তুলে সিডনি টেস্টে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে এগিয়ে থাকা ব্যাগি গ্রিনরা তৃতীয়দিনের শেষে ভারতের থেকে এগিয়ে ১৯৭ রানে।
২৪৪ রানে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হতেই তৃতীয়দিন চা-পানের বিরতিতে যায় দুই দল। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরানের পর অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস লম্বা হল না পুকোভস্কির। মাত্র ১০ রানে মহম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পিছনে পরিবর্ত ঋদ্ধির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বছরের এই ওপেনার। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। ১৩ রানে অশ্বিনের ডেলিভারিতে এলবি ডব্লু হয়ে ফিরলেন তিনি। এরপর দিনের বাকি ২০টা ওভার দুই অজি ব্যাটসম্যান মার্নাস ল্যাবুশানে এবং স্টিভ স্মিথের দখলে।
প্রথম ইনিংসে এই দুই ব্যাটসম্যানের ১০০ রানের পার্টনারশিপে জাঁকিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসেও দিনের শেষে এই দুই ব্যাটসম্যানের অবিভক্ত ৬৮ রানের পার্টনারশিপ ক্রমেই ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল। ৬৯ বল খেলে দিনের শেষে ৪৭ রানে অপরাজিত ল্যাবুশানে। সঙ্গী প্রথম ইনিংসের শতরানকারী স্টিভ স্মিথ ৬৩ বল খেলে অপরাজিত ২৯ রানে। টিম ইন্ডিয়াকে ম্যাচে ফিরতে হলে চতুর্থদিন মর্নিং সেশনে দ্রুত বিপক্ষের কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়া গতি নেই। কারণ প্রায় ২০০ রানে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াই যে চলতি টেস্টে এখন নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এরইমধ্যে ঋষভ পন্তের কনুইয়ের চোট এবং রবীন্দ্র জাদেজের আঙুলের চোট উদ্বেগ বাড়িয়েছে শিবিরে। দ্বিতীয় ইনিংসে কেউই নামেননি ফিল্ডিং করতে। দু’জনেরই আঘাতের স্থানে স্ক্যান করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মেলবোর্নে সমতা ফেরানোর পর সিডনিতে আবার কোণঠাসা ভারত। তবে তৃতীয়দিন মর্নিং সেশনে ২টি উইকেট খোয়াতে হলেও ভালো জায়গায় ছিল টিম ইন্ডিয়া। ৪ উইকেটে ১৮০ রান তুলে লড়াইয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে পন্ত ৩৬ রানে ফিরতেই ধস নামে ব্যাটিং লাইন-আপে। অর্ধশতরান পূর্ণ করে দ্রুত ফিরে যান পূজারাও।
জাদেজা ২৮ রানে অপরাজিত থাকলেও তাঁকে আর সেই অর্থে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। শেষ অবধি ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.