গোমূত্রে রয়েছে সোনা, গোমাংস ভক্ষণ করলেই কুকর্ম অবধারিত, গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার সিলেবাস বিতর্ক তুঙ্গে
গোমূত্রে মেলে সোনা। গোমাস ভক্ষণে কুকর্ম অবধারিত। এমনই একাধিক বিতর্কিত বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে গো-বিজ্ঞানের বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাসে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি রয়েছে গো বিজ্ঞান পরীক্ষা। গো রক্ষক স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার পরীক্ষা এটি। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভ ভাই কাথিরিয়া জানিয়েছেন প্রতিবছরই এই পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থােক। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্যই হল দেশবাসীকে গোরক্ষা নিয়ে সচেতন করা এবং গোরুর উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করা।

এই সিলেবাস তৈরি করে থাকে সরকারি গো উন্নয়ন বিভাগ। ৫৪ পাতার এই সিলেবাস তৈরি করেছেন তাঁরা। তাতে এই ধরনের বক্তব্যের উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গোরক্ষা নিয়ে গোটা দেশেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। একাধিক জায়গায় গো রক্ষা নিয়ে হত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। উত্তর প্রদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গো মাংস। এমন গরু পাচার নিয়েও তৎপর হয়েছে মোদী সরকার।
মধ্য প্রদেশের বিজেপি শাসক সরকার প্রথম মন্ত্রিসভায় পৃথক গো দফতর শুরু করেছে। সেখানে গোরক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। তারপরেই এই গো বিজ্ঞান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সিলেবাসে লেখা হয়েছে জার্সি গরুর তুলনায় দেশি গরু ভাল। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে দেশি গরুর দুধের রং হলুদ কারণ তাতে সোনা থাকে। যে শিশুদের জার্সি গরুর দুধ খাওয়ানো হয় তাদের নানারকম রোগ দেখা দেয়। ডায়াবেটিস, পক্ষাঘাতের মতো রোগ দেখা দিতে পারে জার্সি গরুর দুধ খেলে।
ভারতীয় গরুর উৎকর্ষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিলেবাসে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে ভারতীয় গরু বুদ্ধিমান হয় সেকারণে তারা নোংরা জায়গায় থাকতে চায় না। পরিবেশের সঙ্গে নিেজদের মানিয়ে নিতে পারে গরু। এমনকী গরমভাবাপন্ন আবহাওয়াতেও তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। শুধু তাই নয় ভারতীয় গরুর গোবর, গোমূত্র ব্যবহার করে ওষুধ পর্যন্ত তৈরি হয়ে থাকে।
নন্দীগ্রামে মেগা শো শুভেন্দুর, ১ লক্ষ জমায়েতের চ্যালেঞ্জ, থাকবেন মুকুল-কৈলাশ-দিলীপরা