স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ : পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল উপপ্রধান ও ব্লক যুব সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধন্ধুমার কান্ড এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোল এলাকায়।

যদিও উপপ্রধানের দাবি দাবিমতো টাকা না দেওয়ায় দলীয় উপ-প্রধানের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। ঘটনা ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কটাক্ষ বিজেপির। গোটা ঘটনা জানিয়ে উপপ্রধান যুব সভাপতির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

মালদহের গাজোল যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও আলাল অঞ্চলের উপপ্রধান ফারুক হোসেনের বিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চায়েত সমিতি চত্বর। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই নেতার অনুগামীরা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিসে মিটিং ছিল। সেই মিটিংয়ে যোগদেন আলাল গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ফারুক হোসেন। সেই মিটিং শেষ করে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় গাজোল ব্লকের যুব সভাপতি রাজ কুমার সরকারের নেতৃত্বে এক দল কর্মী তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। এরপর শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি।

তৃণমূল পরিচালিত আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ফারুক হোসেনের অভিযোগ ব্লক যুব সভাপতি তার কাছে বেশ কিছুদিন আগে দশ লক্ষ টাকা দাবি করে। সে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে। এরপর সেই টাকা না দিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় এদিন দলবল নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়েছে গাজোল ব্লক যুব সভাপতি রাজকুমার সরকার। গোটা ঘটনা জানিয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক যুব সভাপতি রাজকুমার। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে বদনাম করার জন্য বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস ও তার স্বামী আমাদের দলের বেশ কিছু লোক এই কাজ করছে। আমাকে কালিম্পালিপ্ত করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমি দলকে সমস্তটা জানিয়েছি। “

ঘটনা ঘিরে অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।জেলা তৃণমূলে কো-অডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “গাজোলে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে যুব করতে হলে মাদার তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে করতে হবে।

রাজ্য যুব সভাপতি অভিষেখ বন্দোপাধ্যায় যেখানে বলছে মাদর তৃণমূল বা যুব তৃণমূল পশ্চিমবাংলার বাইরের দল নয়। যারা নেতা হবে তাদেরকে সবাইকে নিয়ে সমান ভাবে দল করতে হবে। আমরা দলীয় ভাবে বসে সমস্যার সমাধান করবো। না হলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবো।”

জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, “গাজোলে গন্ডগোলের একটাই কারন কাঠ মানি আর বখরা নিয়ে বিবাদ। ওখানে ওদের অবাধ ব্যবসা চলছে। আর সেই কারনে টাকা পয়সা নিয়ে ওদের গন্ডোগোল। অর্থ নিয়ে গোষ্ঠী দন্ধের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।