স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে কলকাতার পথে নামবে বাংলাপক্ষ। এর আগে এই ভূমিপুত্র সংরক্ষণম নিয়ে চিঠি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার তারা সরাসরি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এসে তাদের দাবী জানাবে। হিন্দি আগ্রাসনের দাবী নিয়ে জানাবে প্রতিবাদ।
বাংলাপক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, ‘আগামী ১৭ জানুয়ারি কলকাতার রানী রাসমনী রোডে বাংলা পক্ষের ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে প্রকাশ্য জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাপক্ষ তার বিভিন্ন দাবির মধ্যে মূল দাবি ভূমিপুত্র সংরক্ষণ নিয়ে প্রচার চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই বাংলা পক্ষের তরফে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলার বিধায়কদের এই বিষয় নিয়ে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় অসংখ্য সভা, মিটিং, মিছিল করে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে।’
একইসঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন , ‘আগামী ১৭ জানুয়ারি এই দাবিকে আরও জোরালো করতে, বাংলার সামনের বিধানসভার নির্বাচনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ যাতে অন্যতম ইস্যু হয় সেই লক্ষ্যে কলকাতার রানী রাসমনী রোডে এক মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমাদের আশা বাংলা ও বাঙালির স্বার্থে বাংলার প্রতিটি কোনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের এই দাবি পৌঁছে যাবে।’
গত ২জানুয়ারি রানাঘাট স্টেশনে এক ব্যক্তির উপর আরপিএফের মিথ্যা কেস দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন জমা দিয়েছিল বাংলাপক্ষ। সেখানেও ছিল ভূমিপুত্র সংরক্ষনের দাবী। বাংলা পক্ষ নদীয়া জেলার সদস্যরা জানিয়েছিলেন, ‘আরপিএফ কর্তৃক বাঙালি জাতির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য এবং মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও ডেপুটেশন জমা দিয়েছে বাংলাপক্ষ।’
ঘটনাটি ঠিক কী? জানানো হয় , ‘পরিকল্পনা এবং ঘোষণা অনুসারে বাংলাপক্ষ রানাঘাট স্টেশনে যায় কম্বল ও খাবার প্রদান করতে। কর্মসূচি শুরু হলে এক হিন্দিভাষী আরপিএফ এসে প্রথমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ গলায় হিন্দি ভাষায় কিছু বলে। সংগঠনের সদস্য ভাষা বুঝতে না পারায় তাকে বাংলায় কথা বলতে বলা হয়। উনি বাংলায় কথা বলার কথা বললে আমাদের সাথে আরও উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং মিথ্যা কেস দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।’ এবার তাদের অভিযোগ , ‘প্রায় ১০০ শতাংশ বাঙালির বাস রানাঘাট শহরে আর সেখানেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিয়ে বাংলাপক্ষ এবং তাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। ঘটনাক্রমে এদের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে অসহায় মানুষগুলির। সত্যি বলতে আমরা বাংলায় রয়েছি নাকি অন্য কোথাও, এই সব ঘটনার পর সেই প্রশ্ন মনে জাগে। বাঙালি আক্রান্ত। বহিরাগত আরপিএফ এর শাস্তি চাই।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.