কলকাতাঃ  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আচমকা ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের পরই এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজধানীর পথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷

আগামিকাল শনিবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। হঠাত করেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই ধনকড়ের কেন দিল্লি যাত্রা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার রাতের বিশেষ বিমানেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা। গত কয়েক দিন আগেই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রায় এক ঘন্টা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ তবে কি নিয়ে দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে, সে বিষয়ে এখন কিছু জানা যায়নি৷ প্রায় এক ঘন্টা পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবন থেকে বেরিয়ে যান৷ কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলেননি তিনি৷

যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ৷ রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ স্বাভাবিক৷ কিন্তু জগদীপ ধনকড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয়েছে৷

কখনও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তৈরি হয়েছে সংঘাত৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর রাজভবনে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যমূলক। এরাজ্যে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসা ইস্তক সরকারের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়।

কখনও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন, কখনও আবার শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারেরর অস্বস্তি বাড়িয়েছেন রাজ্যপাল। পাল্টা ধনকড়কে বিঁধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলও।

সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, দেশ এক পথে চলছে, বাংলা আর এক পথে। তিনি আরও বলেন পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। রাজ্যপালের এই তোপ ঘিরেই মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসক দলের সঙ্গে তার বিরোধ তুঙ্গে। এই অবস্থার মধ্যেই আচমকা রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই রাজ্যপালের দিল্লি উড়ে যাওয়া যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে রাজনৈতিকমহল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।